বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা এবং বিদেশ ফেরত কর্মীদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত একবছরে প্রায় ৪৫৪ কোটি টাকা নানা খাতে ব্যয় করেছে।
কিন্তু এতো সেবার পরও অনেক প্রবাসী এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিধায় এখন দেশের বিভাগওয়ারী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মন্ত্রণালয়। তার অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে সিলেটের একটি হোটেলে বিভিন্ন দেশ হতে কাজ হারিয়ে দেশে ফেরা অভিবাসী কর্মীদের সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কয়েকটি প্রবাসী পরিবারকে দেয়া হয় আর্থিক অনুদান।
তারই একজন সিলেট জেলার ওসমানী নগর থানার চিন্তামনি গ্রামের অভিজিৎ পুরকায়স্থ। তার বাবা স্বপন পুরকায়স্থ ২৯ বছরের প্রবাস জীবনে ২০২৩ সালে কুয়েতে কর্মরত অবস্থায় মারা যান। বিদেশ থেকে মরদেহ আসার পর তার সন্তান ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন করলে ৫ মাসের মাথায় তিনি ৩ লাখ টাকার চেক পান। যা তার নিজের ও পরিবারের জন্য নতুন করে আশার সঞ্চার হয়।
অভিজিৎ বলেন, 'সরকারের আর্থিক অনুদান পেয়ে আমরা খুবই স্বচ্ছল। বাংলাদেশ সরকারকে আমি অনেক ধন্যবাদ জানাই।'
আয়োজকরা জানান দেশের ৩০টি জেলায় সরকারের ওয়েলফেয়ার সেন্টার রয়েছে, তাদের লক্ষ্য ২ লাখ বিদেশ ফেরত কর্মীকে নতুন করে আর্থিক সহায়তাসহ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি। সেই সাথে প্রবাসীদের জন্য সরকারের বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রকৃত প্রবাসীরা যাতে সহযোগিতা পায় সেজন্য দেশের প্রতিটি অঞ্চলে এ কার্যক্রম চালাচ্ছেন তারা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুরেন্দ্র নাথ সাহা বলেন, 'প্রত্যেকেই জানে এ কল্যাণ বোর্ড কী ধরনের সুবিধাগুলো দেয়। বাইরে যাওয়া ও আসার সময় সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। কারও সন্তান অসুস্থ হওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষাবৃত্তি ও প্রতিবন্ধীভাতাসহ অনেক সুবিধা দেয়া হয়।'
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসীদের অর্থ সহযোগিতা পেতে হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি বিমান বন্দরে হয়রানি যাতে না হয় সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।'
মতবিনিময় সভা শেষে অনুষ্ঠানে বিদেশে মারা যাওয়া প্রবাসী স্বজনদের মধ্যে ৩ জনকে ৯ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। সেই সাথে প্রবাসীর প্রতিবন্ধী সন্তানদেরকেও অনুদান দেয়া হয়।