সুনামগঞ্জের পুরাতন সুরমা নদী। ৭২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীতে একসময় কার্গো জাহাজ আর লঞ্চ চলাচল করলেও বর্তমানে ডিঙি নৌকা চলাচলও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পলি আর অবৈধ দখলে বর্তমানে স্থানীয়রা এই নদীতে ধান চাষ আর পশু পালন করছেন।
শুধু পুরাতন সুরমা নয় একই অবস্থা জেলার ১০টি নদীর। বিশেষ করে সুনামগঞ্জের ১২০ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে প্রবাহিত জাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই ও পাটলাইসহ বেশ কিছু নদীতে তৈরি হয়েছে নাব্যতা সংকট। এতে আটকা পড়েছে শতাধিক মালবাহী বালহেড। স্থানীয়রা বলছেন, একসময়ের খরস্রোতা নদীর উপরে এখন ফসলের চাষ করছেন তারা। ভারী বৃষ্টি কিংবা উজানের ঢল সামাল দিতে পারছে না এসব নদী। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে স্থানীয়রা।
নদীর তীরবর্তী মানুষদের মধ্যে একজন বলেন, ‘৮ থেকে ১০ বছর যাবৎ শুনে আসছি যে নদী খনন হবে, কিন্তু হয় না।’
আরেকজন বলেন, ‘ সুরমার এই শাখা নদী ভরাট হওয়ায় হাওরগুলোর বিশেষ ক্ষতি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হয়।’
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, মৃতপ্রায় নদী রক্ষায় ইতিমধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করলে ফিরে আসবে নদীর আগের রূপ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা ২০২৩ সালে সুনামগঞ্জে নদী সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প সম্পন্ন করেছি। প্রথমদিকে আমরা এর অংশ হিসেবে চারশো তেতাল্লিশ কিলোমিটার নদী খননের কাজ করবো যার খরচ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।’