ঝুঁকিপূর্ণ ঝালকাঠির বেইলি ব্রিজ, স্থায়ী সমাধানের দাবি এলাকাবাসীর

এখন জনপদে
0

আশির দশকে ঝালকাঠির বিভিন্ন সড়কে নির্মিত বেইলি ব্রিজগুলোতে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন চলাচল করছে শত শত যানবাহন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন যাত্রীরা। এলাকাবাসী দ্রুত স্থায়ী সমাধানের দাবি জানালেও, এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

যানবাহন চললেই হচ্ছে বিকট শব্দ। কাছ থেকে দেখলে চোখে পড়ে ছোট ছোট লোহার পাতগুলো জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজ। এরপরও চলছে যানবাহন। ঝুঁকিপূর্ণ এই চিত্র দেখা যায় ঝালকাঠির বেইলি ব্রিজগুলোতে।

বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের এই ব্রিজটি সাত বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে, প্রতিদিনের যানবাহনের চাপে নড়বড়ে হয়ে উঠছে ব্রিজটি। ট্রাক বা বাস উঠলেই দুলতে থাকে ব্রিজটি, স্ল্যাবগুলোও বেশ আলগা। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

ঝালকাঠি সদরের বেশাইনখান ও তারাপাশা, রাজাপুরের বাগড়ী, নৈকাঠিসহ জেলা বেইলি ব্রিজসহ ৩৮টি বেইলি ব্রিজই এখন ঝুঁকিপূর্ণ। সাময়িক মেরামত করে সচল রাখার চেষ্টা করা হলেও, খুব বেশি কাজে আসছে না। স্থানীয়দের আশঙ্কা, যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

ঝালকাঠির সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, অধিকাংশ ব্রিজের উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান বলেন, ‘যেসব ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো আছে, সেগুলো মাইনরের মাধ্যমে এবং কিছু পিএমপি সেতু প্রোগ্রামের মাধ্যমে কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে জমাদ্দারবাড়ি সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে সামনে আমাদের জমিদারবাড়ি সেতু ও মানাইঘাটা সেতুতে কিছু কাজ হবে।’

ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুগুলো নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, কিন্তু কবে মিলবে স্থায়ী সমাধান সে প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছে।

এএম