তিনি অভিযোগ করেন, নবগঠিত কমিটি মূলত একটি পকেট কমিটি যেখানে ত্যাগী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি।
এর আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আফরোজা খান রিতাকে আহ্বায়ক এবং এস এ জিন্নাহ কবির, অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান, আতাউর রহমান আতা, অ্যাডভোকেট আ.ফ.ম নুরতাজ আলম বাহার, সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন ও গোলাম আবেদিন কায়সারকে সদস্য করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আতাউর রহমান বলেন, 'আমি জেলা বিএনপির সবচেয়ে সিনিয়র ব্যক্তি। দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করছি। দীর্ঘ ছয় বছর জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাত বছর সভাপতি, দুইবার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। অথচ আমাকে নতুন কমিটিতে তৃতীয় নম্বর সদস্য করা হয়েছে, যা রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার সামিল।'
তিনি বলেন, 'এই কমিটিতে দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আহ্বায়কের ঘনিষ্ঠদের জায়গা দেয়া হয়েছে। গোলাম আবেদিন কায়সার ১৫ বছর দেশের বাইরে ছিলেন, অথচ তাকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিবালয়ের সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজনেরও নিজস্ব কোনো কর্মী-সমর্থক নেই, তবুও তাকে রাখা হয়েছে। এতে স্পষ্ট যে, এই কমিটি স্বচ্ছতার ভিত্তিতে গঠন করা হয়নি।'
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'দলের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, জেল-জুলুম সহ্য করেছি। ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলন এবং ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে লিফলেট বিতরণের সময় গ্রেপ্তার হয়েছিলাম। তবুও আজ আমাকে অবমূল্যায়ন করা হলো।'
সংবাদ সম্মেলনে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মইনুল ইসলাম খান শান্ত, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জামিলুর রশিদ খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, মোতালেব হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হোসেন মহব্বতসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।