অন্যান্য
সংস্কৃতি ও বিনোদন

সোনারগাঁওয়ে ১৫ দিনের বৈশাখী মেলা শুরু

নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম অনুসঙ্গ বৈশাখী মেলা। যেখানে গ্রাম-বাংলার চিরচেনা রূপ প্রকাশিত হয় বাহারী পণ্যের মাধ্যমে। তেমনি এক মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এই মেলায় কারু শিল্পীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য ছিলো বিশেষ আকর্ষণ।

বাংলা নতুন বছরকে বরণ করতে সকাল বেলা থেকেই মানুষ ভিড় করে সোনারগাঁওয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে, যেখানে উৎসবে ভিন্নমাত্রা যোগ করে ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা।

মেলায় শিশু-কিশোরের সংখ্যা ছিলো বেশি। বেড়ানোর পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নাগরদোলা-চরকিতে চড়ে তারা উচ্ছ্বসিত।

তারা বলেন, পরিবারের সাথে ঘুরতে আসলাম। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করলাম। মেলা থেকে অনেক কিছু কিনবো। নাগরদোলায় উঠলাম খুব ভালো লাগছে।

ঈদ আর নববর্ষেরর ছুটি একসাথে পাওয়ায় এবার পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরাঘুরির সুযোগ বেশি পাওয়া গেছে বলে জানান মেলায় আগত দর্শনার্থীরা। এছাড়া লোকজ পণ্যের প্রতি টানও মেলায় আনার আরেকটি কারণ।

এক দর্শনার্থী বলেন, পহেলা বৈশাখ ও ঈদের ছুটি একসঙ্গে পাওয়াতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বের হতে পেরেছি। আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে চাই।

গেলবার রমজান মাসে নববর্ষ হওয়ায় বৈশাখে তেমন ব্যবসা হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা। তারা বলেন, এবার বৈশাখী মেলায় মানুষের সমাগম বেশি। আগের বছর বৈশাখী মেলা আমরা পাইনি। এবার বেচাবিক্রিও ভালো হচ্ছে।

আয়োজকরা বলছেন বৈশ্বিক চাহিদার ক্ষেত্র তৈরি আর দেশিয় ঐতিহ্য রক্ষার জন্যই এই বৈশাখী মেলার প্রয়োজন।

লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মো. আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, 'লোক সংস্কৃতির বৈশ্বিক একটি গুরুত্ব আছে। সে কারণেই স্থানীয় উপাদানগুলোকে ইউনেস্কো গুরুত্ব দিচ্ছে। মেলাকে কেন্দ্র করে বেচাকেনার দিকটিও সুরক্ষার একটি বিষয়।'

১লা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া ১৫ দিনের এই মেলায় প্রতিদিন বিকেলে রয়েছে সাংস্কৃতিক আয়োজন।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর