এতে করে বিচারপতিদের অপসারনের ক্ষমতা ফিরে গেল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে। এখন থেকে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পদ্ধতির মাধ্যমে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
এই রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন থেকে বিচার বিভাগ বের হওয়ার সুযোগ পেলো বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রায়ের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের যুক্তিগুলো ছিলো অযৌক্তিক, অনুচ্ছেদ ৯৬ এর ক্ষমতা এখন বহাল হয়ে গেলো।
এছাড়া ইন্টারপোলের সহায়তায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হওয়ারও আহবান জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার রিভিউ শুনানির উদ্যোগ না নেয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠার পরও পাঁচ বছর ধরে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত ঝুলে রয়েছে। এখন রিভিউ নিষ্পত্তি হলেই ঐ তিন বিচারপতিসহ সদ্য ছুটিতে থাকা ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার পথ উন্মুক্ত হবে।
১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ছিল। ৭৫ সালে এই ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেয়া হয় রাষ্ট্রপতির কাছে।
জিয়াউর রহমানের আমলে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত করা হয় সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পদ্ধতি। কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতো।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালে আবারো এ ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেয়। ঐ বছরই এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট হয়। হাইকোর্ট সেই সংশোধনী বেআইনি ঘোষণা করেন।