জেমসের অনুষ্ঠান শুরুর আগ মুহূর্তে বহিরাগতদের অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করতে না দেয়ায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে মঞ্চ দখল নেয়ার চেষ্টা করে তারা। পরে জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের বিক্ষুব্ধরা সরে যেতে বাধ্য হয়।
রাত ১০টার দিকে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান শামীম মঞ্চ থেকে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘোষণা করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেমসের অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হলো।
বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের প্রচার ও মিডিয়া উপ কমিটির আহ্বায়ক রাজীবুল হাসান খান বলেন, ‘জেমসের অনুষ্ঠানটি সাকসেস করার জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি ছিল, কিন্তু কেন কী কারণে কারা হামলা করলাম না বুঝতে পারলাম না। আমাদের জেলা স্কুলের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে তাদের ইটের আঘাতে।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনা করে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে অনুষ্ঠানটি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি আমরা।’
উল্লেখ্য, গেল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় এবং উদযাপন পতাকা উত্তোলন, সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, শপথবাক্য পাঠ ও ব্যানার, ফেস্টুন, ঘোড়াগাড়ীসহ সুসজ্জিত আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে শহর প্রদক্ষিণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠান।
শুক্রবার রাতে র্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নির্ধারিত ব্যান্ড- সংগীত শিল্পী জেমসের পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে শেষ হওয়ার কথা বর্ণাঢ্য এ আয়োজন।
ব্রিটিশ ভারতে সরকারি উদ্যোগে হাতে গোনা যে কয়টি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে তার একটি ফরিদপুর জিলা স্কুল। আজ থেকে ১৮৫ বছর আগে ১৮৪০ সালে যাত্রা শুরু করে এ বিদ্যালয়টি। শুরু থেকেই এ অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আন্দোলন ও সংগ্রামে এ স্কুলটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে। কালের পরিক্রমায় মযাদা ও গৌরবে আজো এ বিদ্যালয়টি এ অঞ্চলের একটি সেরা বিদ্যালয় হিসেবে তার স্বকীয় ভাবমূর্তি বজায় রেখেছে।





