প্রবাদে আছে দশে মিলে করি কাজ, এই পথে না হেঁটে ক্রিকেট বোর্ডের স্ট্যান্ডিং কমিটি হাঁটছিল অন্যপথে।। প্রতিশ্রুতি দিয়েও বেশ কয়েকবার পিছায় কমিটির দায়িত্ব বণ্টনের কাজ। ফলে দায়িত্ব হয়ে যায় বোঝা। কাজের ক্ষেত্রে শুরু হয় গড়মিল। অনেকটা কালক্ষেপণের পর অবশেষে বিসিবির ১০ জন পরিচালকের মধ্যে ২১ টি বিভাগের/উইংয়ের দায়িত্ব বণ্টন। অবশ্য ওয়ার্কিং ও সিকিউরিটি বিভাগে এখনো কোনো পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়নি।
বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, ‘সিসিডিএম কমিটি দেয়া হয়েছে মো. সালাউদ্দিন চৌধুরীকে, ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জ কমিটি দেয়া হয়েছে আকরাম খান, হাই পারফরমেন্স কমিটি দেয়া হয়েছে মাহবুব আনামকে। এটা ছিল আমাদের প্রথম সাধারণ সভা। আজকে আমাদের মধ্যে কমিটির দায়িত্ব বণ্টন হয়েছে।’
গুরুত্বপূর্ণ উইং গুলোর মধ্যে মার্কেটিং এবং কমার্শিয়াল কমিটির পরিচালক হিসেবে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ। ফাইন্যান্স ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির পরিচালক হিসেবে ফাহিম সিনহা। ক্রিকেট অপারেশনসে নাজমুল আবেদীন ফাহিম। টেন্ডার অ্যান্ড পারচেজ কমিটিতে মাহবুব আর অন্যান্য কমিটির দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে আকরাম খান, ইফতেখার রহমান ও অন্যান্য পরিচালকদের মাঝে।
কয়েক ঘণ্টা ব্যাপী চলমান সাধারণ সভায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু প্রিমিয়ার লিগ ও প্রথম বিভাগ ক্রিকেট শুরুর নির্দিষ্ট তারিখ জানাতে পারেনি বিসিবি। তবে ক্লাবগুলো দাবি মেনে গঠনতন্ত্র সংশোধনের কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিসিবি। অর্থাৎ বিসিবির উপর ঢাকার ক্লাব গুলোর প্রভাব আগের মতোই বিদ্যমান থাকছে অন্তত নতুন কোনো নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত।
বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম বলেন, ‘প্রথমে বলেছি পরিবর্তন ও পরিবর্ধন নিয়মতান্ত্রিকভাবে হবে এখানে সকল অংশীজন থাকবে। কারণ বাংলাদেশের অংশীজন কিন্তু ঢাকার ক্লাবগুলো নয় এছাড়াও বাহিরে জেলা ও বিভাগসহ অন্যান্য সংস্থা রয়েছে। সবাই যাতে ইনক্লুডেড হয় এজন্য পরিবর্তন ও পরিবর্ধন কথা বলা হয়েছে।’
নতুন কমিটি আসার পর নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। পরিচালনা কমিটির বিভিন্ন বিভাগে শূন্য পদের দোহাই দিয়ে এতদিন নানা অসঙ্গতিকে আড়াল করেছেন। দায়িত্ব বণ্টনের পর ক্রিকেট বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে পারবে কিনা বিসিবি সেটাই দেখার বিষয়।