পেন্ডুলামের মত দুলছে দেশের সাঁতারের ভাগ্য। ঘড়ির কাঁটায় বহমান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শঙ্কা। যে কোন সময়ে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা। দেশের সাঁতারুদের আন্তর্জাতিক সুইমিং পুলে নামার স্বপ্ন শেষ হতে পারে অনির্দিষ্টকালের জন্য। এমনই দোদল্যুমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন।
বর্তমান কমিটির মেয়াদ আছে মাত্র তিনদিন। অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারিই শেষদিন। তবে এরপর কি! কে ধরবে ফেডারেশনের হাল? অভিভাবক ছাড়া কোন পথেই বা এগোবে দেশের সাঁতারুরা?
এরইমধ্যে নতুন কমিটির জন্য তাড়া দিয়ে চিঠিও দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্ব অ্যাকুয়াটিক্স। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন কমিটির নাম ঘোষণা না করলে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বাংলাদেশের ওপর। এমন পরিস্থিতিতে বারবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সমাধান মেলেনি সাঁতার ফেডারেশনের।
বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া বলেন, ‘কমিটি না হলে, আমাদের এজিএম না হয় সেক্ষেত্রে ফিনা যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। অ্যাকুয়াটিক্স থেকে আমাদের যে বিভিন্ন সাহায্য, সহযোগিতা তারপর বিভিন্ন গেমস এগুলোতে আমাদের অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাবেক সাঁতারু লায়লা নূর বলেন, ‘অবশ্যই ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার একটা ব্যাপার আছে। কারণ একটা সাসপেনশন পড়ে গেলে কেউই এটা স্বাভাবিকভাবে নিবে না।’
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করে এনএসসির সার্চ কমিটি। তবে সেখানে নেই সুইমিং ফেডারেশনের নাম। এরজন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে দুষছেন সার্চ কমিটির আহ্বায়ক।
এনএসসির অবহেলায় ফেডারেশন নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার মুখে থাকলেও, এর জবাব দেয়ারও যেন কেউ নেই।
অনেকদিনর ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় কোনা সাফল্য নেই সুইমিং ফেডারেশনের। গ্যাস সংযোগ না থাকা, অকেজো মিরপুরের জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সের একমাত্র ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ড।
সবমিলিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ফেডারেশনটি। তার ওপর এবার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লে সাঁতারুদের ভবিষ্যতও অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।