প্রকৃতিতে পৌষের আনন্দধারা। ফসলের প্রাচুর্যের সাথে বিজয়ের গল্প যেন একসূত্রে গাঁথা। ৭১'র এমন দিনেই বাংলাদেশ স্পর্শ করেছিল মুক্তির মাইলফলক। ৫৪ বছরে বিজয়ের পরম্পরায় সাম্য প্রতিষ্ঠার ইশতেহার নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নতুন প্রজন্মের। আর অগ্রজদের প্রত্যাশা রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার আধিপত্যবাদ দূর করে সম্মিলিতভাবে গড়তে হবে নতুন বাংলাদেশ।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদরাও থাকছেন এবারের বিজয় দিবসে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন গণতান্ত্রিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন এক মাতৃভূমি গড়ার প্রত্যাশায় এবার বিজয় দিবস উদযাপন করবে দেশের আপামর মানুষ।
বাসস জানিয়েছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, ‘আসুন ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখি।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বাণীতে বলেছেন, ‘দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। বিজয় দিবস কেবল আমাদের গর্বের উৎস নয়, এটি আমাদের শপথের দিনও। শপথ আমাদের একতাবদ্ধ থাকার, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার।’
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমপর্ণ করে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাথা নীচু করে চলে যেতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী।