দেশে এখন
0

মেহেরপুরে আগাম জাতের শিম চাষে লাভবান চাষিরা

মেহেরপুরে আগাম জাতের শিম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শিমের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম থাকায় খুশি তারা। প্রতি বিঘা জমি থেকে খরচ বাদ দিয়ে লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারে চাষিরা। চলতি মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় প্রায় ৩শ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শিমের আবাদ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বেগুনি ফুল আর সবুজ ফলের সঙ্গে দারুণ এক মিতালী। মাঠের পর মাঠ জুড়ে যেমন বাড়িয়েছে সৌন্দর্য ঠিক তেমনিই কৃষকের মন ভোরে উঠেছে খুশিতে। বেগুনি রঙের মনোমুগ্ধকর ফুলে প্রকৃতি সেজেছে দারুণ মুগ্ধতায়। মেহেরপুরে বছরের শুরু থেকেই শিম চাষিদের মুখে ফুটে উঠেছে রঙিন হাসি। একদিকে যেমন হয়েছে বাম্পার ফলন অন্যদিকে বাজারদরও ভালো যার ফলে ভালো লাভ হওয়ার আশায় বুক বেধেছে কৃষকরা।

শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম শিম। বছর পাঁচ ধরে মেহেরপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন এই আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। প্রতি বিঘা শিম চাষে খরচ হয় মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। বিঘায় শিম বিক্রি হচ্ছে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। সে হিসেবে প্রতি বিঘা শিম বিক্রি করে লাখ টাকার উপরে লাভ করতে পারে একজন চাষি।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, চলিত মৌসুমে মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলার ৩শ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শিমের আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন ১৩ মেট্রিক টন করে। সেই হিসাবে চলিত মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন শিম উৎপাদন হবে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, ‘এখানে বন্যা মুক্ত এলাকা হওয়ায় সব সময় ফসল ভালো হয়ে থাকে। বিশেষ করে শাকসবজি ভালো হয়। এবার আমাদের শিম হেক্টর প্রতি ১২ থেকে ১৩ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে, আর সঙ্গে এখন দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। দিন দিন চাষিরাও শিম চাষে আরো আগ্রহী হচ্ছেন।’

আগাম জাতীয় শিম চাষে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে চাষিরা অন্যদিকে অসময়ে চাষ হওয়ার ফলে সবজিতে আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ।


এএম