দেশে এখন
0

দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬, খসড়া তালিকা প্রকাশ

নদীর দেশ বাংলাদেশে পদ্মা ,মেঘনা, যমুনা নদীর সাথে কম বেশি সবার পরিচিত থাকলেও হাতিটানা, হাপরখালী কিংবা আগুনমুখা নদীর নাম কয়জনই বা জানে। বাংলার বুক জুরে ছড়িয়ে আছে এমনই নাম না জানা অসংখ্য নদী। এই নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল বদ্বীপে। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পার হলেও সরকারি পর্যায়ে এখনো নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি দেশে নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা। মিল খুজে পাওয়া যায় না বিভিন্নসংস্থার হিসেবের মধ্যেও।

দেশে নদনদীর প্রকৃত সংখ্যা কত, তা নির্ধারণে অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর নদ-নদীর সংখ্যার খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, খসড়া হিসেবে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি।

আজ (মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পানি ভবনে সেমিনারে প্রকাশ করা হয় নদ-নদীর এই খসড়া তালিকা। এই তালিকা আরো যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত তালিকা পহেলা বৈশাখে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীকে অগ্রাধিকার দিয়ে দখলমুক্তে কাজ শুরু করবে সরকার।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ এখন যে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে সেটা হচ্ছে খসড়া তালিকা, আগামী বাংলা নববর্ষের প্রথম চূড়ান্ত তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।’

নদী দূষণের জন্য কম বেশি সবাই দায়ী উল্লেখ করে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় নদী দখলমুক্তে ব্যবস্থা না নিলে কাজ পিছিয়ে যাবে।

সেমিনারে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নানা কারণে নদী দূষণ হচ্ছে। এর জন্য পরোক্ষভাবে সবাই দায়ী। নদীকে বাঁচাতে হলে নদীকে দূষণ ও দখলদারি থেকে মুক্ত করতে হবে।’

ঢাকার ২১ টি খাল দূষণ ও দখল মুক্ত করে একটি ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয় সেমিনারে।

এএইচ