দেশে নদনদীর প্রকৃত সংখ্যা কত, তা নির্ধারণে অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর নদ-নদীর সংখ্যার খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, খসড়া হিসেবে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি।
আজ (মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পানি ভবনে সেমিনারে প্রকাশ করা হয় নদ-নদীর এই খসড়া তালিকা। এই তালিকা আরো যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত তালিকা পহেলা বৈশাখে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীকে অগ্রাধিকার দিয়ে দখলমুক্তে কাজ শুরু করবে সরকার।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ এখন যে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে সেটা হচ্ছে খসড়া তালিকা, আগামী বাংলা নববর্ষের প্রথম চূড়ান্ত তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।’
নদী দূষণের জন্য কম বেশি সবাই দায়ী উল্লেখ করে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় নদী দখলমুক্তে ব্যবস্থা না নিলে কাজ পিছিয়ে যাবে।
সেমিনারে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নানা কারণে নদী দূষণ হচ্ছে। এর জন্য পরোক্ষভাবে সবাই দায়ী। নদীকে বাঁচাতে হলে নদীকে দূষণ ও দখলদারি থেকে মুক্ত করতে হবে।’
ঢাকার ২১ টি খাল দূষণ ও দখল মুক্ত করে একটি ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয় সেমিনারে।