যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় টায়ার শহর পরিণত হয় উল্লাসের নগরীতে। ধ্বংসস্তূপের মাঝেই স্বস্তি খুঁজতে পতাকা হাতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে নামেন রাস্তায়। এসময় হিজবুল্লাহর পতাকা আর সংগঠনটির নিহত নেতা হাসান নাসরাল্লাহর ছবি নিয়েও উল্লাস করতে দেখা যায় বাস্তুচ্যুত হাজারো বাসিন্দাকে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন শহর অভিমুখে অগ্রসর হতে দেখা যায় বিশাল গাড়িবহরকে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর একরকম শান্ত বৈরুতের আকাশ। রাতে ইসরাইলের ড্রোন বৈরুতের আকাশে উড়তে দেখা গেলেও সকাল থেকে লেবাননের কোথাও নেই ইসরাইলি বোমা হামলার শব্দ কিংবা কালো ধোয়া। নেই সীমান্তে হিজবুল্লাহ আর ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হামলা পাল্টা হামলা, কিংবা দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর আগ্রাসন। তবে ইসরাইলকে ভরসা করতে না পেরে কিছুটা উদ্বেগ জানিয়েছেন লেবাননের সাধারণ মানুষ।
তবে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনো আসেনি কোনো বার্তা। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এখনই সেনা প্রত্যাহার করছে না আইডিএফ। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সতর্কবার্তা, এখনই যেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বাড়ি না ফেরে, কারণ এখনও নিরাপদ নয় ওই এলাকা। যে কারণে বাড়ি ফেরা নিয়ে চরম শঙ্কার মধ্যে পড়েছেন দুই মাস ধরে বাস্তুচ্যুত সাধারণ মানুষ।
এদিকে, লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকর নিয়ে উল্লাস করছে খোদ ইসরাইলের সাধারণ মানুষ। তবে তারা বলছেন, একইসঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে সেই উদ্যোগ আরও অনুপ্রাণিত করতো তাদের।
যদিও যুদ্ধবিরতির কিছুক্ষণ আগেও লেবাননে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হতাহত না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু স্থাপনা।