ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনদিনের মাথায় দেশে স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে আনতে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব বুঝে পেয়েই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলকার পাহাড়সম দুর্নীতি ও অনিয়মের বেড়াজাল ভেঙে দিতে সংস্কারের পথে হাঁটতে শুরু করে ইউনূস সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের একশ দিনের মেয়াদে বারবারই সামনে আসছে নির্বাচন প্রসঙ্গ। সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কতদিন সময় লাগবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দল ও জনমনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শুরু থেকেই। এমন প্রেক্ষাপটে আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে, আরও কম হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনকে বেশি প্রাধান্য দিতে চায় তাহলে সে পথেও এগোতে রাজি তার সরকার।
ইউনূস বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকার ৫ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত, এটা নিশ্চিত। এটা আরও কম হতে পারে। এইটা পুরোটা নির্ভর করছে মানুষ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় তার ওপরে।’
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে কি না এমন- প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইনি প্রক্রিয়া চলমান, দোষী সাব্যস্ত হলে ভারতের কাছে তাকে ফেরত চাওয়া হবে।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় কোনো দুশ্চিন্তা রয়েছে কি না এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সবার সঙ্গেই তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় মোটেও চিন্তিত নন তিনি।