বিবৃতিতে তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপিত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে কোনো আলেম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ‘শতকরা ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ বা বিজ্ঞ আলেম রাখা হয়নি। বিগত ইসলাম বিদ্বেষী সরকার প্রায় ১৭ বছরের শাসনামলে নানা অসংগতি ইসলামী তাহযিব-তমদ্দুন বিরোধী অনেক বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা শতকরা ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’
বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে মুসলিমবিদ্বেষী ও নাস্তিক্যবাদী অনেক বিষয় ঢুকানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দেশের বিজ্ঞ আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ এ বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন এবং বক্তব্য ও বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাতই করেনি।’
আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে একজন আলিয়া ও একজন কওমি শিক্ষায় শিক্ষিত বিজ্ঞ আলেমসহ কমপক্ষে দুইজন বিজ্ঞ আলেম অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।
