প্রায় দুই বছর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছাপোষণ করেছিলেন। ইংল্যান্ডে জন্ম নিলেও বাংলাদেশকে যে হৃদয়ে ধারণ করেন, তা বিভিন্ন বার্তায় একাধিকবার বুঝিয়েছেন লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে বাংলাদেশ দলে খেলানোর প্রক্রিয়া শুরু করে বাফুফে। বেশ সময় লাগলেও সেই প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, হামজার পাসপোর্ট হয়েছে। অ্যাম্বাসি থেকে এখনো পাসপোর্ট নিতে পারেনি যেহেতু প্রি- সিজন শুরু হয়ে গিয়েছে।
হামজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রস্তুত হলেও কবে নাগাদ তাকে লাল-সবুজের জার্সিতে দেখা যাবে, তা নিশ্চিত নয়। যদিও আসন্ন সেপ্টেম্বরে রয়েছে ফিফা উইন্ডো। সেখানে হামজাকে খেলানো হবে কি হবে না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আর সেপ্টেম্বর মাসের জন্য কোনো প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল বাফুফে কর্তার কাছে।
তুষার বলেন, ‘গেমের ব্যাপারে অতিস্বত্তর ন্যাশনাল কমিটির করে জানানো হবে।’
এদিকে, কক্সবাজারে সেন্টার অব এক্সিলেন্সের বিষয়ে আপডেট দিয়েছে বাফুফে। ফিফার অনুমতি পেলে ৩ টি মাঠ করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেডারেশনের। তবে, মানতে হবে কিছু নিয়মকানুন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ২০ একর জায়গার মধ্যেই স্থাপনা করতে হবে। ৫০০ মিটারের এরিয়ার মধ্যে বাহিরের কোনো স্থাপনা করা যাবে না। এখানে যত গাছ কাটা যাবে তার দ্বিগুণ গাছ লাগাতে হবে।’
সেন্টার অব এক্সিলেন্সের কাজ ২০২২ সালেই শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে, কিছু জটিলতা থাকায় সে কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। এবার ইতিবাচক সাড়া পেলে প্রকল্পটির জন্য ফিফা থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা পাবে বাফুফে। যদিও টাকার অঙ্কটা পূর্বনির্ধারিতই ছিল।