২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে ৩৭ ম্যাচ বাকী থাকতেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় দ্রাবিড়ের 'মেন ইন ব্লু'। যে কারণে বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল আইসিসিকে। এরপর বড় দলগুলোর সুবিধার্থে ওয়ানডে বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের মডেল পরিবর্তন করে লিগ পদ্ধতি চালু করে আইসিসি।
এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় দেড় যুগ। ২০২৪ এ অঘটনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে চমক। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও ২০২১ এর ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড ইতোমধ্যেই গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে। তাদের সঙ্গী হয়েছে পাকিস্তানও। এতে নিশ্চিতভাবেই জৌলুস কমছে বিশ্ব আসরের। একই সঙ্গে বড় অংকের আর্থিক ক্ষতিতেও পড়বে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিশ্ব মঞ্চের সুপার এইটে নেই পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড। ক্রিকেটের বৈশ্বিকীকরণের জন্য দারুণ বিষয় হলেও সাধারণ দর্শকদের জন্য বিষয়টি রীতিমতো হতাশাজনক। কারণ বিশ্বমঞ্চে সবাই চায় বড় দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে।
স্বাভাবিকভাবেই বড় দলগুলোর বিশাল সমথকগোষ্ঠীর কারণে ম্যাচ থাকলে বিপুল পরিমাণ দর্শকের চোখ থাকে টেলিভিশন পর্দায়। তবে দলগুলো বাদ পড়ায় সুপার এইটের খেলায় দর্শক সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। দলগুলো বাদ পড়ার প্রভাব দেখা যেতে পারে বিশ্বকাপের গ্যালারিতেও।
স্পন্সর কিংবা বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানগুলোও বড় দলগুলোর পরের রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত ধরে নিয়েই বিনিয়োগ করেছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই সুপার এইটের বেশি মূল্যেই স্লট বিক্রির পরিকল্পনা ছিল সম্প্রচারক সংস্থাগুলোর। কিন্তু ফেবারিটরা ছিটকে পড়ায় টুর্নামেন্টে অনেকেরই আগ্রহ কমে যাবে। টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড ভ্যালু, বিজ্ঞাপনের রেভিনিউ, ও টিআরপিতে পড়বে ভাটা। আইসিসি থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা, টুরিজম ব্যবসায়ী ও সম্প্রচারকারী সংস্থা পড়েছে আর্থিক লোকসানের শঙ্কায়।
এখন দেখার বিষয় আর্থিক দিক বিবেচনায় ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মডেলেও পরিবর্তন নিয়ে আসে কিনা নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি! উত্তর পেতে খুব বেশি অপেক্ষাও করতে হবে না। কারণ পরের বিশ্বকাপের আয়োজকই যে যৌথ ভাবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা!