গরম থেকে রেহাই পেতে পানিতে ডুব দেয়ার পাশাপাশি কেউ খাচ্ছেন ডাব, কেউবা আইসক্রিম। গরমে বেশি বিপাকে শিশুরা। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন।
দিল্লি, রাজস্থান এবং বিহারের বেশ কিছু রাজ্যে তাপমাত্রা বেশি। তীব্র রোদের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না কেউই। এদিকে তাপপ্রবাহে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঘটনা। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে রোগীদের। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। এমন পরিস্থিতিতে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ চিকিৎসকদের।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছেই, তাপপ্রবাহের মধ্যেই প্রতিদিন কলেজে যাচ্ছি আবার বাড়ি ফিরছি। তাপপ্রবাহে বাইরে বের হওয়া খুব বেদনাদায়ক।
একজন চিকিৎসক বলেন, হিট স্ট্রোকের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা, পানির বোতল সঙ্গে রাখুন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
শুধু ভারত নয়, সূর্য চোখ রাঙাচ্ছে পাকিস্তানেও। দেশটিতে প্রায়ই তাপমাত্রা থাকছে ৪০ ডিগ্রির উপর। তাপপ্রবাহ থেকে স্বস্তি পেতে পরিবার পরিজন নিয়ে সমুদ্র সৈকতে ভিড় করছেন করাচির বাসিন্দারা।
বন্দর শহর করাচির মানোরা সমুদ্র সৈকতে গরম থেকে পরিত্রাণে ঠান্ডা জলে গা বাসানোর পাশাপাশি ঘোড়ায় চড়ে উচ্ছ্বসিত অনেকে।
করাচির অসহনীয় গরম থেকে বাঁচতে সমুদ্রপাড়ে পরিবার নিয়ে এসেছেন অনেকে। তাদের একজন বলেন, 'আরাম এবং উপভোগ করার জন্য করাচিতে তেমন কোনো জায়গা নেই। আমরা প্রতি সপ্তাহেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সৈকতে আসি।'
আবার গরমের পাশাপাশি লোডশেডিংয়েও বিপর্যস্ত মানুষ। পর্যটকদের একজন বলেন, 'এসব থেকে বাঁচতে সবাইকে নিয়ে সমুদ্রতীরে চলে আসি, সমুদ্র স্নান উপভোগ করি। বাচ্চারাও উপভোগ করে। এটি আমাদের জন্য পিকনিকের মতো।'
এদিকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ায় বেড়েছে সৈকতকেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের।