ফুটবল
এখন মাঠে

পেশাদারিত্বে এগিয়ে বসুন্ধরা কিংস, পিছিয়ে পড়ছে মোহামেডান

১৫ কোটি টাকা বাজেটের পরও পেশাদারিত্বের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে মোহামেডান ক্লাব। একই পরিণতির দিকে হাঁটছে আবাহনী, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মতো ক্লাবগুলো। এমনটাই মনে করেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব। এদিকে পেশাদারিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা সাজানোয় মৌসুমের সব ট্রফি ঘরে তুলতে পেরেছে বসুন্ধরা কিংস, এমনটাই বলেছেন ক্লাবটির সভাপতি ইমরুল হাসান।

দেশের দীর্ঘদিনের ক্লাব ফুটবল ইতিহাসে বড় নাম মোহামেডান ও ঢাকা আবাহনী। তবে সঠিক পরিকল্পনা আর আর্থিক সংকটে দেশের ফুটবলে জোয়ার তোলা ক্লাবগুলোতে জং ধরে হারিয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। শুধু কি আর্থিক সমস্যা নাকি পেশাদারিত্ব না মেনে দল গোছানোই বড় কারণ?

ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব বলেন, ‘বসুন্ধরার নিজস্ব স্টেডিয়াম আছে। প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড আছে। আর আমি মনে করি, মোহামেডান, আবাহনীসহ অন্য সব ক্লাব পেশাদার না।’

তবে খুব বেশিদিন না হওয়া দেশের ক্লাব ফুটবলে বসুন্ধরা কিংস পেশাদারিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে সাফল্যের জোয়ারে ভাসছে। মৌসুমের ট্রেবল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ক্লাবটির ১১ বছরের ইতিহাসে ফুটবল পাড়ায় এমন অর্জনে আলাদাভাবে গর্জন তুলেছে জায়ান্ট ক্লাবটি।

বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান আরও বলেন, ‘মোহামেডান, আবাহনী, বসুন্ধরা কিংস, শেখ জামাল, শেখ রাসেল ভালো দল গঠন করে থাকে। সবগুলো দলই কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল গড়ে। এর মধ্যে আমাদের ধারাবাহিক জয়ের পেছনের অন্যতম কারণ, আমরা পেশাদারিত্বের আলোকে দল পরিচালনা করে থাকি।’

ফুটবল পাড়ায় নিজেদের অস্তিত্ব দিনকে দিন যেখানে শক্তিশালী করছে লাল-সাদা জার্সিধারীরা। অন্যদিকে ফুটবলপ্রেমী সংগঠকের অভাবে মাঠের লড়াইয়ে নিজেদের সাফল্য হারিয়ে ফেলছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলো।

আর ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব বললেন, ফুটবল অঙ্গনে যারা জড়িত আছেন তাদের ৮০ শতাংশই করাপটেড। আর তারাই ফুটবল চালাচ্ছে। এখানে ভালো কিছু করতে গেলে কেউ সঠিকভাবে করতে পারছে না। আমরা তো ভালো প্লেয়ার পাচ্ছি না। আবার তাদের প্রাপ্যটা দিতে পারছি না।’

কোনোরকম দল গড়ে ক্লাবগুলোর মৌসুম হয়তো শেষ হবে, তবে দেশের ফুটবলে সাড়া জাগানোর মতো কাজ না হলে একসময় মোহামেডান-আবাহনী লড়াইয়ে থাকবে না আর সমর্থক। আবার আত্মতৃপ্তি মিলবে না।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর