ট্যানারি শিল্পের জন্যে হাজারীবাগ এলাকা অনেক আগেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে গিয়েছিল। তবে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের পর এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা শান্তি ফিরে আসে। পরিস্কারও হয় কিছুটা। খালগুলোকেও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয় আগের রূপে।
দীর্ঘ প্রশস্ত রাস্তা এখন হাজারীবাগ, ট্যানারি মোড়, জিগাতলা, তিন রাস্তা, শিকারী টোলা, মনেষ্বর এলাকায়। আর এসব নিয়েই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। বাসিন্দারা বলছেন, আগের চেয়ে বর্তমানে মশার উপদ্রব কিছুটা কম। আর নিজেরাও পরিস্কার রাখছে নিজ আঙিনা।
স্থানীয়রা বলেন, মশা আগের থেকে কম। তবে একেবারে নেই এটা বলা যাবে না। সামনে বর্ষাকাল তাই এখন থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো অবস্থা খুব ভয়াবহ হবে।
তবে বরাবরের মতোই অভিযোগ মশার ওষুধ নিয়ে। সিটি করপোরেশন থেকে যেখানে নিয়ম আছে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে মশার ওষুধ ছিটাতে হবে, সেখানে তাদের অভিযোগ কালে-ভদ্রে এই ওয়ার্ডে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। আর সামনেই ডেঙ্গুর মৌসুম হওয়াতে আতঙ্ক বাড়ছে।
তারা আরও বলেন, মশার যন্ত্রণায় তো মানুষ অতিষ্ঠ। পদক্ষেপ না নিলে তো বিপদ হয়ে যাবে। মশার ওষুধ বেশি দেয়া হচ্ছে না। তারা মাসে এক-দুইবার দেয়। এটা যথেষ্ট নয়। কারণ সামনে মশার চাপ আরও বাড়বে।
এদিকে এরকম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বলেন, 'এ তথ্য ভুল আমরা সপ্তাহে একদিন নয়, ছয়দিন মশার ওষুধ দিচ্ছি। শুক্রবার শুধুমাত্র ছুটি থাকে। এ কার্যক্রম চলমান আছে এবং থাকবে।'
এছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ২০ মে অংশীজনদের সাথে আলোচনায় বসবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।