ভানুয়াতু, ওশেনিয়ার ছোট্ট দ্বীপদেশ। ৮৩টি দ্বীপ মিলিয়ে ১২ হাজার ১৯০ বর্গকিলোমিটার আয়তনে কৃষি এবং পর্যটন নির্ভর দেশে জনসংখ্যা মাত্র ৩ লাখ। মাথাপিছু আয়ের পরিসংখ্যানে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল না হলেও অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ পিছিয়ে আছে দ্বীপরাষ্ট্রটি।
এ নামের কোনো দ্বীপের মানুষরা ক্রিকেট খেলে তা হয়তো অনেকেরই অজানা। তবে সেটা ভালোভাবেই বিশ্বকে জানান দিলো দ্বীপদেশটির নারীরা। দেশের হয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে এসে র্যাংকিংয়ে ১৮ ধাপ এগিয়ে থাকা জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। তাতেই যেন ভানুয়াতুর উল্লাস বিশ্বকাপ জয়ের সমান। হবে নাই বা কেন? তাদের যে আছে অনেক না পাওয়ার গল্প।
গেল সেপ্টেম্বরে ক্রিকেট ঐতিহ্যে এগিয়ে থাকা পাপুয়া নিউগিনিকে হারানোর অসাধারণ এক গল্প রচনা করেন ভানুয়াতু নারী ক্রিকেটাররা। তাতেই প্রথমবারের মতো পূর্ব-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাইপর্বে জিতে বিশ্বকাপের মূল বাছাইয়ে জায়গা করে নেয় ভানুয়াতু। তবে সেই ম্যাচে পুরোনো কিট, ব্যবহৃত সরঞ্জামই ছিল নারী ক্রিকেটারদের সম্বল।
মূলত আইসিসির দেয়া ৫ লাখ মার্কিন ডলারে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনাসহ বছরব্যাপী চলে সব কার্যক্রম। তাতে নারী ক্রিকেটারদের বেতন আর নতুন কিট যোগানো প্রায় অসম্ভব। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলতে যাওয়া নারী খেলোয়াড়দের জন্য চাঁদা তোলার মতো উদ্ভাবনী উপায়কে বেছে নেয় দেশটির ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। গণ-অর্থায়নে সংগ্রহ হওয়া ৬ লাখ ৩শ' ডলারে নতুন কিট আর ক্রিকেটারদের বেতন ভাতার ব্যবস্থা হয়।
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলেও কখনও নতুন কিটে খেলার স্মৃতি নেই নারীদের। সে হিসেবে চাঁদার টাকায় অভাবনীয় এক মাইলফলক গড়লো ভানুয়াতু'র নারী ক্রিকেটারদের।