প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়, হয় নাকি? প্রেমের মত চাঁদের গায়ে গোলাপি আভা স্থায়ী হয়েছিল ঘণ্টা দু'য়েক। এরপর তা মুছে যায়, রয়ে যায় পূর্নচাঁদ।
রাতের আকাশে চাঁদের রঙ গোলাপি। চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বড় ও উজ্জ্বল দেখায় চাঁদের প্রতি আলাদা আগ্রহ দেখা যায় সব বয়সী মানুষের। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে দেশের আকাশে দেখা যায় এই গোলাপি আভার চাঁদ। কেউ বাসার ব্যালকনিতে বসে আগ্রহ ভরে দেখেছে চাঁদ আবার কেউ চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতেই উপভোগ করছে চাঁদের সৌন্দর্য্য।
সারাদিনের গরমের তীব্রতার পর পূর্ণিমার চাঁদ যেন কিছুটা প্রশান্তি হয়ে ধরা দেয় নগরবাসীর কাছে। তাই তো রাত বাড়তেই জোছনার আলোয় অনেকেই বেরিয়েছিলেন শহরে। সাথে প্রিয় মানুষ কিংবা পুরো পরিবার।
ঘুরতে বের হওয়া একজন বলেন, 'চাঁদটা উপলক্ষ্য করেই আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বের হয়েছি। মা, বোন ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। দিনের বেলা তো সেভাবে বের হওয়া হয় না কাজের চাপে। সেজন্য রাতে বের হওয়া।'
তীব্র তাপপ্রবাহে কাজ শেষে খানিকটা জিরিয়ে নিচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ। চাঁদের আলোয় বৈশাখের বাতাসে মন ভরেছে অনেকের। তাই তাদের চোখ এড়ায়নি এই গোলাপী চাঁদ।
একজন রিক্সাচালক বলেন, 'অন্যদিনের চেয়ে বাতাস আজ অনেক বেশি। চাঁদটা দেখেও শান্তি লাগছে অন্য দিনের তুলনায়।'
চাঁদের দিকে তাকিয়ে শহরের উত্তাপ ভুলে থাকার চেষ্টায় খোলা আকাশের নিচে বসেছেন কেউ কেউ। চায়ের কাপেও জমে উঠেছে আড্ডা আর গল্প। সেই গল্পে চাঁদ যেন এনেছে অন্যমাত্রা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস, জ্যোর্তিবিদ্যা ও বৃক্ষরোপণ সংক্রান্ত কিছু গ্রন্থ মতে, এপ্রিলে পূর্ণিমার চাঁদ এমন বিবর্ণ হলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। তাই অনেকেই আশায় আছেন বৃষ্টির।
আবহাওয়া অফিস বৃষ্টির সুসংবাদ না দিলেও এই চাঁদ দিয়েছে কিছুটা প্রশান্তি। চাঁদের নাম গোলাপি হলেও এপ্রিলের এই পূর্ণ চাঁদের রং কিন্তু পুরোপুরি গোলাপি নয়। কোথাও কোথাও কমলা রঙেও চাঁদটি দেখা যায়। রাত বাড়ার একপর্যায়ে চাঁদটি উজ্জ্বল সাদা রং ধারণ করে। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকেই 'পিংক মুন' বা 'গোলাপী চাঁদ' নাম দেয়া হয়।