আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) সচিবালয়ে মার্কিন ঐ দলটির সঙ্গে বৈঠক শেষ করে সাংবাদিকদের তিনি কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেছেন, বড় দাগে বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধনের কথাই তুলেছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল। তারা শ্রমিক অধিকার বিনষ্ট বা শ্রমিক নির্যাতনে দায়ী কারখানা মালিক কিংবা ব্যক্তিদের সাঁজা আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন।
শ্রমিক সংগঠন করতে বিদ্যমান ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনের বাধ্যবাধকতা তুলে দেবার প্রস্তাবও দিয়েছে বিদেশি ঐ প্রতিনিধিদল। তারা চায় আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এটা ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়।
আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, শ্রম আইন সংশোধন করে নতুন যে খসড়াটি করা হয়েছে তা আরও সংশোধন করে সমর্থনের বাধ্যবাধকতা ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে এবং এতে শ্রমিকের সংখ্যার কোন শর্ত থাকবে না। ১০ শতাংশের দিকে ভবিষ্যতে যাওয়া হবে এমন একটা ইঙ্গিতও দিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
এছাড়া বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও রপ্তানি প্রক্রিয়া অঞ্চলে ট্রেড ইউনিয়ন করার অনুমতি দেবার কথা বলেছে মার্কিন প্রতিনিধিদল।
আইনমন্ত্রী বলেছেন সব মিলিয়ে তারা ১১টি সুপারিশ তুলে ধরেছেন যেগুলোর ব্যাপারে তিনি দাবি করেছেন, এসব প্রস্তাবের বিপরীতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে তারা(প্রতিনিধিদল) সন্তুষ্ট।
তিনি যোগ করেন, কোন কিছু পাওয়ার জন্য নয়, জাতির পিতার আদর্শে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সরকার এমনিতেই শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার ব্যাপারে দায় অনুভব করে।