দীর্ঘদিন ধরে যারা ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এবং নাগরিকত্বও পেয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যারা পরিবারের সদস্যদের ব্রিটেনে নিতে চান, তাদের জন্য কঠিন করা হয়েছে স্পাউস ভিসার নিয়ম।
এখন থেকে স্পাউস আনতে গেলে আগের ১৮ হাজার ৬০০ পাউন্ডের পরিবর্তে একজনের বার্ষিক উপার্জন কমপক্ষে ২৯ হাজার পাউন্ড দেখাতে হবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪০ লাখ টাকারও বেশি। তবে স্বাস্থ্য ও সেবা খাতকে নতুন পরিবর্তনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
বার্ষিক আয়ের এই সীমা ধীরে ধীরে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বৃটিশ সরকার। চলতি বছরের শেষ নাগাদ যার পরিমাণ ঠেকতে পারে ৩৪ হাজার ৫০০ পাউন্ডে। আর ২০২৫ সালে যা দাঁড়াতে পারে ৩৮ হাজারে ৭০০ পাউন্ড।
ব্রিটেনের আইনজীবী ব্যারিস্টার কামরুল হাসান বলেন, 'যারা এ দেশে প্রবাসী হিসেবে আছে তারা যদি তাদের স্পাউস নিয়ে আসতে চায় সেটা এখন তাদের জন্য অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে। এখন তাদের জন্য বাৎসরিক আয় ২৯ লাখ হতে হবে।'
২০২২ ও ২৩ সালে ব্রিটেনে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী আসায় কঠোর অবস্থানে ব্রিটিশ সরকার। দেশটি চাইছে ২০২৪ সালে বার্ষিক অভিবাসীর সংখ্যা ৩ লাখে নামিয়ে আনতে। এর আগে ২০২৩ সালে শিক্ষার্থী ও কেয়ার ওয়ার্কার ভিসায় স্পাউস আনা নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ নির্বাচনের ভোটে অভিবাসন ইস্যু বড় ভূমিকা পালন করবে। তাই যেকোনো মূল্যে অভিবাসী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।