শিল্প কলকারখানা থেকে শুরু করে যানবাহন, সর্বত্র ব্যবহার করা হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি। প্রতিদিন নির্গত হচ্ছে কয়েকশ' টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড। এছাড়া শিল্পোন্নত দেশগুলোতে অতিমাত্রায় গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণতো আছেই। এতে দৃশ্যমান হচ্ছে জলবায়ুর বিরূপ আচরণ। বৈশ্বিক তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগও।
এসবের জন্য দায়ী শিল্পোন্নত দেশগুলোকে দূষণ কমাতে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিচ্ছে পরিবেশবাদীরা। সে লক্ষ্যে এবার যানবাহনের দূষণ রোধে কঠোর নীতি প্রণয়ন করেছে বাইডেন প্রশাসন। এর আওতায় কার্বন নিঃসরণ ও গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন রোধে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি দ্রুত গতিতে বাড়াতে চায় দেশটি। এতে ২০৩০ থেকে ২০৩২ সালের মধ্যে নতুন গাড়ির ৩০ থেকে ৫৬ শতাংশই বৈদ্যুতিক গাড়ি হবে বলে আভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক সংস্থা। ২০২৩ সালে যেই পরিমাণ ছিল প্রায় আট শতাংশ।
এমন পদক্ষেপে ৭০০ কোটি টনেরও বেশি জলবায়ু দূষণ কমে আসবে বলেও দাবি করছে সংস্থাটি। এছাড়া বায়ুর গুণমান বাড়ানোর পাশাপাশি গাড়ি চালকদের অর্থ সাশ্রয় করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো গেলে বছরে অন্তত ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি জনস্বাস্থ্য সুবিধা বাড়ানো সম্ভব হবে বলে দাবি ডেমোক্র্যাটদের। যুক্তি হিসেব বলা হচ্ছে, এর মাধ্যমে শুধু জ্বালানি খরচই সাশ্রয় হবে ৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি।
বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চার্জিং স্টেশনসহ পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর জন্য বাইডেন প্রশাসনের এজেন্ডার বিরোধিতাও করছেন রিপাবলিকানরা। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে জো বাইডেন পুনরায় নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে বলেও সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মন্তব্যের পক্ষ্যে দেয়া যুক্তিতে ট্রাম্প বলেন, বাইডেন ফের ক্ষমতায় এলে মেক্সিকান কারখানায় নির্মিত চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি মার্কিন বাজার প্রবেশের জন্য অনুমতি দেবেন। এতে দেশের অটো ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনকি এক লাখের বেশি কর্মী চাকরি হারাতে পারে বলেও শঙ্কা এই নেতার।