আজ (সোমবার, ১৭ মার্চ) আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কভেনির নেতৃত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের আইরিশ প্রতিনিধিদল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার এবং ইইউ সদস্য দেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে।
ইইউ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়ে আয়ারল্যান্ডকে সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, ' ইইউ বাংলাদেশের জন্য ব্যবসায়িক সুবিধা বিশেষ করে জেনারেলাইজড স্কিম অফ প্রেফারেন্স (জিএসপি) ২০৩২ সাল পর্যন্ত প্রসারিত করতে পারে।'
আইরিশ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান তিনি। বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিশীল খাতে আয়ারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের শ্রমনীতি নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে ইইউভুক্ত দেশগুলো সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ভুল বোঝাবুঝি হবে না।
এসময় আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী সাইমন কভেনি তার এই সফরের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশে সফরে এসেছি। ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট আনুষ্ঠানিকভাবে খোলার জন্য এখানে এসেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অফিসটি জনগণের মধ্যে জনগণ এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সহায়তা করবে।
আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও খাদ্য শিল্পে (কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প) প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায় বলেও জানান কভেনি।
তিনি আরও বলেন, আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘ ও ইইউ ফোরামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।