এক মাসেরও কম সময়ের জন্য আয়োজিত গেমসে অ্যাথলেটদের থাকার ব্যবস্থা করতে প্রতিবারই বিশেষভাবে তৈরি করা হয় অট্টালিকা। যার পোশাকি নাম অলিম্পিক ভিলেজ। এবার প্যারিসে আয়োজিত ইভেন্টে সেই আবাসনে থাকছে ভিন্নতা। ভিলেজগুলোতে অ্যাথলেটদের রুম শীতল করার জন্য নেই কোনো এয়ার কন্ডিশনার।
কিছুদিন পর থেকেই ইউরোপজুড়ে বাড়বে তাপমাত্রা। প্রায় ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে তাপমাত্রার পারদ। বিভিন্ন দেশের তাপমাত্রা বিবেচনায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে ভিলেজগুলো।
আয়োজককারীর একজন বলেন, 'এমনভাবে ঘর বানানো হয়েছে যাতে অ্যাথলেটরা গরমের দিনেও আরামে থাকতে পারেন। এখানে এসির কোনও দরকার নেই। কক্ষগুলো এমনভাবে বানানো হয়েছে যেখানে সূর্যের আলো খুব বেশি প্রবেশ করবে না। ফলে ঘরের তাপমাত্রাও বাড়বে না। পাশাপাশি, মাটির নিচ থেকে ঠান্ডা পানি সংগ্রহ করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ঘর ঠান্ডা রাখা হবে।'
সাধারণত গেমস শেষ হলে ভিলেজগুলো নিলাম করে দেন আয়োজকরা। গেমসে ক্রীড়াবিদদের ব্যহারের পর এবারও বিক্রি করে দেয়া হবে। এবারের অলিম্পিক গেমস শেষে স্থানীয় প্রায় ৬ হাজার মানুষ এখানে থাকার সুযোগ পাবে।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের কাছে প্রায় ২ হাজার ৮০০টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যা গেমসের সময় ক্রীড়াবিদরা ব্যবহার করবেন। তবে গেমস শেষ হওয়ার প্রায় এক বছর পরে ২০২৫ সাল থেকে মানুষ এখানে থাকতে শুরু করবে।'
অভিনব পদ্ধতিতে তৈরি অলিম্পিক ভিলেজ নিয়ে অ্যাথলেটদের পাশাপাশি আগ্রহ বাড়ছে ক্রীড়াপ্রেমীদের।