আসন্ন রমজানে পরিস্থিতি সামাল দিতে বাকিতে এবং ন্যূনতম ঋণপত্র খুলে পণ্য আমদানির সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা বলছে, এসব পণ্য সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানির সুযোগ রয়েছে। তবে আমদানিকারককে কোন ভিনদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেশি মুদ্রায় ঋণ নিতে হবে। অথবা স্থানীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি নিয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ঋণে এসব পণ্য আমদানি করা যাবে। এছাড়া ঋণপত্র খোলায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংরক্ষিত নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশনা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। আর অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যগুলোর সরবরাহ নিশ্চিতে অগ্রাধিকার থাকবে এলসি খোলায়।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে রমজান। এর আগেই অভ্যন্তরীণ বাজারে গত দেড় মাসে দুই-একটি ছাড়া বাকি সব পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহ ঠিক থাকলে খুব বেশি দাম বাড়বে না বলে আশ্বাস খুচরা ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘পণ্যের দাম বাড়তে পারে। তবে বাইরে থেকে প্রোডাক্ট আসলে চাহিদা বাড়লেও সমস্যা হবে না।’
সরবরাহ ঠিক থাকলেও এরইমধ্যে দাম বেড়ে গেছে বলে জানান পাইকার ও আমদানিকারকরা। বাকিতে আমদানির সুযোগ থাকলেও এলসি খুলতে ডলারের যোগান বাড়ানো ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি বলে মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনায় রমজানে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিকই থাকার কথা। কিন্তু দাম ও চাহিদা পূরণে বাজার ব্যবস্থাপনার কথা বললেন ব্যাংকাররা।
সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম বলেন, ‘ঠিক সময়ে ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে। আর এটি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে করা যেতে পারে। এছাড়া বাজারে কেউ যেন কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডলার সংকটের এই সময়ে এমন সিদ্ধান্ত প্রয়োজনীয় হলেও নির্ধারিত সময়ে আমদানি ও বাজারজাত নিশ্চিতে নজরদারি থাকতে হবে।’