কাঁচাবাজার
বাজার
0

মুড়িকাটা পেঁয়াজে বাজারে স্বস্তি!

ঢাকা

পেঁয়াজের দাম দুই অংকের ঘরে আনতে হলে লাগাম টানতে হবে সিন্ডিকেটের।

মুড়িকাটা পেঁয়াজের আগমনে রাজধানীর বাজারগুলোতে স্বস্তির বার্তা। ২৫০ এর ঘর ছোঁয়া দেশি পেঁয়াজ এখন ঘুরছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকার ঘরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ নেমেছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়।

এক ক্রেতার বলেন, ‘২০০/২৫০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনে কিভাবে পেঁয়াজু, বেগুনি ও আলুচপ খাওয়াবো? এই দামে পেঁয়াজ কিনে কোন কিছু তৈরি করা প্রায় অসম্ভব।’

আরেক ক্রেতা বলেন, ‘বড় লোকদের কোন সমস্যা নেই, কিন্তু পেঁয়াজের এই দামে মধ্যবিত্তদের অবস্থা খুবই খারাপ।’

বাজার এখনও সয়লাব হয়নি নতুন পেঁয়াজে। তবে দামের ত্রিমুখী লড়াইটা জমেছে বেশ। বিক্রিতে এগিয়ে আছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। দুর্মূল্যের বাজারে নতুন এবং দেশিজাত বলে কদর বেশি। আর বাজারদর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

এক বিক্রেতা বলেন, ‘দেশি এই পেঁয়াজ বাজারে আসায় দামটা কিছুটা কমেছে। এটা ধারাবাহিক হলে দাম আরও কমবে।’

বাজারে পেঁয়াজের দামের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে লাগাম টানা গেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজের কারণে। তবে বছরের এই সময়টাতে পেঁয়াজের দাম সাধারণত নাগালের মধ্যেই থাকে। যা এবার দেখা যাচ্ছে না।

বাজারে আসা ক্রেতারা প্রয়োজনের তুলনায় খুব বেশি পেঁয়াজ কিনছেন না। তাদের মন্তব্য একটু যথাযথ নজরদারি চালানো হলে দাম নিয়ে কারসাজি করতে পারতো না ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে যদি আমরা একটু সচেতন হই তাহলে সিন্ডিকেটরা কিছুই করতে পারবে না। যাদের এক কেজি পেঁয়াজ দরকার তারা যদি এই সময়টাতে হাফ কেজি কিনেন তাহলে বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।’

মুড়িকাটা পেঁয়াজের যোগানে দুর্বল হতে শুরু করেছে সিন্ডিকেট। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসবে বাজার বলছে কৃষি অর্থনীতিবিদরা। আশা রোজার আগেই পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে নেমে আসবে ।

কৃষি অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রমজানে পেঁয়াজের দাম একটু বাড়ে। কিন্তু এই সময়ে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তখন ৪০/৫০ টাকায় পেঁয়াজ কেনা যাবে বলে আশা করছি।’

পেঁয়াজ সংরক্ষণ না করতে পারার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাই বাড়তি দামে পেঁয়াজ না কিনে ব্যবহার কমালে উল্টো ফাঁদে পড়বে সিন্ডিকেট বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

এসএসএস

আরও পড়ুন:

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর