ইসরাইলিদের কাছে নতুন মাথাব্যাথার কারণ গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ বা পিআইজে। সম্প্রতি গাজায় তারা ইসরাইলি সেনাদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে।
রকেট চালিত গ্রেনেড লঞ্চার দিয়ে ইসলামিক জিহাদের সদস্যরা ইসরাইলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে হামলা করে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর তারা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
গাজার হাসপাতালে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ইসলামি জিহাদকে দায়ী করে ইসরাইল। এরপর থেকেই মূলত আলোচনায় আসে সুন্নিপন্থী এই সশস্ত্র সংগঠনটি। পশ্চিমারা বলছে পিআইজে হামাসের মতই ইরান সমর্থিত।
সংগঠনটির আলাদা সামরিক শাখার নাম আল-কুদস ব্রিগেড। তাদের নিজস্ব রকেট ভাণ্ডার ও বিপুল অস্ত্র আছে। নব্বইয়ের দশক থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে টার্গেট করে আলোচনায় আসে পিআইজে। ১৯৯৭ সালে তাদের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কৌশল নিয়ে হামাসের সঙ্গে তাদের মতবিরোধ আছে। তবে এখন এই দুই গোষ্ঠী সমন্বয় করে হামলা চালাচ্ছে। আর সেটিই মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর। খান ইউনূস শহরে ইসলামিক জিহাদের বেশ কয়েকটি হামলার মুখে পড়েছে সেনারা।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইসলামিক জিহাদের নামে ভুয়া তথ্য দিয়ে ইসরাইলি গোয়েন্দাদের চোখে ধুলা দিয়েছে হামাস। সংঘাত এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে গাজায় শান্তি ফেরাতে আগ্রহী হামাস। বছরের পর বছর এসব ভুয়া তথ্য নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগেছে ইসরাইলিরা। যদিও হামাসের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলি ভুল ধারণাকে শক্তিশালী করা।
পশ্চিমা গণমাধ্যমের দাবি, বছর খানেক আগে থেকেই আক্রমণের পরিকল্পনা সাজিয়েছে হামাস। এবার ইসলামিক জিহাদের তৎপরতায় বিশ্বজুড়ে নতুন করে হামলা বাড়ার আশঙ্কায় আছে পশ্চিমারা।
ইরানের পাশাপাশি পিআইজেকে অর্থায়ন ও সহায়তা করে আসছে সিরিয়া সরকারও। হামাসের সহযোগিতায় তারা বিভিন্ন সময় ইসরাইলিদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড পিআইজেকে চলমান হামাস-ইসরাইল সংকটে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে।