খুচরা বাজারে ইএফডি বসিয়ে সরাসরি ভ্যাট আহরণে এনবিআরের পরিকল্পনা ২০০৯ থেকে। ২০ লাখেরও বেশি ব্যবসায়ীদের পণ্য বিক্রির হিসাব সরাসরি তদারকির এ ডিভাইসের সংখ্যা ১৪ বছরে ২০ হাজারেরও কম।
ফার্স্টফুড, জুয়েলারি, হোটেল রেস্তোরাঁসহ ২৫ খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসাতে গত এক যুগে বারবার উদ্যোগ নিয়েছে রাজস্ব বোর্ড। শেষপর্যন্ত ২০২২ সালে দায়িত্ব দেওয়া হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনেক্সকে। প্রতি বছর ৬০ হাজার করে ৫ বছরে সারাদেশে ৩ লাখ ইএফডি বসানোর পরিকল্পনা ছিলো এনবিআরের। তবে গত ৫ মাসে প্রতিষ্ঠানটি বসাতে পেরেছে মাত্র ১০ হাজার ইএফডি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, পর্যায়ক্রমে ইএফডি বসতেই থাকবে। তবে, গ্রাহকরা নিজ থেকে পণ্য কেনার সময় চালান বুঝে না নিলে একাজের সফলতা আসবে না।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, 'ক্রেতারা ইএফডি মেশিনে তাদের চালান বুঝে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের ভ্যাট সংগ্রহ নিশ্চিত হবে না। সেজন্য ক্রেতাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, যেখানে ইএফডি আছে সেখান থেকে কেনাকাটা করুন এবং আপনার চালান বুঝে নিন।'
দেশে বাড়ছে ভ্যাটদাতার সংখ্যা, চলতি বাজেটের ৮৬ শতাংশ রাজস্ব আহরণ করতে হবে এনবিআরকে। আর রাজস্ব বোর্ড বলছে, মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশই আসে মূল্য সংযোজন কর থেকে। সঠিক তদারকির মাধ্যমে ভ্যাট আহরণ আরও বাড়াতে চান তারা।
ভ্যাটদাতাদের উৎসাহিত করতে ইএফডির চালানের ওপর লটারির মাধ্যমে পুরস্কৃত করে রাজস্ব বোর্ড। এবারও ভ্যাট সপ্তাহে ১০১ জনকে পুরস্কৃত করবে এনবিআর।