গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

কচুরিপানা ও ঘাস পরিস্কার নিয়ে বিপাকে নওঁগার হাসাঁইগাড়ী বিলের কৃষকরা

শুরু হবে ইরি বোরো ধানের রোপণ। কিন্তু তার আগেই জমিতে জমে থাকা কচুরিপানা ও ঘাস পরিষ্কার নিয়ে বিপাকে নওঁগা সদর উপজেলার হাসাঁইগাড়ী বিলের কৃষকরা। কৃষকদের লাভের একটি অংশ চলে যাচ্ছে জমি পরিষ্কারে। কৃষি অফিসের পরামর্শ আগাছা পচিয়ে জৈব সার তৈরি করতে পারলে কমবে খরচ।

নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী বিল। প্রায় ৩ হাজার ২০০ হেক্টর আয়তনের এই বিলে বছরে আবাদ হয় শুধু একটি মাত্র ফসল। ইরি বোরো ধানের চাষে চলে কৃষকদের সারা বছরের প্রশিক্ষণ। বিঘা প্রতি অন্তত ২৮ থেকে ৩২ মণ পর্যন্ত ধানের উৎপাদন হলেও, কচুরিপানা ও ঘাস পরিষ্কারে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। অতিরিক্ত খরচে লাভের মুখ দেখাই কঠিন হয়ে পড়েছে কৃষকদের জন্য।

কৃষকরা জানান, গত ৪ বছর আগে নওগাঁ সদর ও রানীনগর উপজেলার বিলের মাঝে খাল খনন করার পর থেকে, পানির ঢেউ বন্ধ হয়েই হাঁসাইগাড়ী বিলের জমিতে জমতে থাকছে আগাছা। কোমর সমান পানিতে নেমে এই ঘাস পরিষ্কার করতে গুনতে হচ্ছে বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। স্তূপ করা ঘাসে কমে যাচ্ছে জমির পরিমাণ, এতে অন্তত ৩ মণ ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কর্ষকরা।

বোরো ধানের আবাদ ও কাটা মাড়াইয়ে খরচ পড়ে বিঘাপ্রতি প্রায় ১৭-১৮ হাজার টাকা। তার সাথে যুক্ত হচ্ছে কচুরিপানা ও ঘাস পরিষ্কারের অতিরিক্ত খরচ। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের দাবি কৃষকদের।

কচুরিপানা ও ঘাস পচিয়ে জমিতে ছড়িয়ে দিতে পারলে জমির উর্বরতা বাড়ার পাশাপাশি সার খরচ কমবে।

মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষকরা এই কচুরিপানাগুলো এক জায়গায় জড়ো করে পচিয়ে জৈব সার তৈরি করে, তাহলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে সেই সঙ্গে বাড়তি সারের চাহিদা পূরণ করবে।’

এখন জমি প্রস্তুত করতে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

এএম