পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মৃত নূরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম ফকির(৫৫) কুনিয়া এলাকায় দুইজন শ্রমিক নিয়ে সেচ দেওয়ার জন্য ফিসারীতে যান। রাত আটটার সময় ফিসারীতে সেচ দেওয়া শেষ হলে সেচের পাম্পের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। শ্রমিকেরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ও নিহতের ছেলে মাজারুল ইসলাম সানি(৩২) রাত সাড়ে ১০ টায় লাশ নিয়ে পশ্চিম সাতপাই এলাকায় নিজ বাড়িতে চলে আসে। বাড়ির উঠানে রাখা স্বামীর লাশ দেখতে এসে স্ত্রী রিনা পারভীন(৪৮) শোকে কার্তর হয়ে যায়। তখন পরিবারের লোকজন রিনা পারভীনকে নিয়ে বাসার ভিতরে যাওয়ার পর তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন।
স্বজনরা রিনা পারভীনকে নিয়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় রিনা পারভীনের।
স্থানীয়রা জানান, এটি একটি বিরল ঘটনা এরকম স্বামী স্ত্রীর একসাথে মৃত্যু কখনো দেখিনি। স্বামী স্ত্রী একজনের প্রতি আরেকজনের এতটাই প্রেম ছিল যে একজনের মৃত্যু আরেকজন সইতে না পারায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনের মৃত্যু ঘটেছে। একই সাথে একই দিনে একই স্থানে তাদের জন্য কবর প্রস্তুত করা হচ্ছে।