বাঁশ-বেত
বাণিজ্যিক চাহিদা বেড়েছে বাঁশের, বছরে অর্ধশত কোটি টাকার ব্যবসা
গৃহস্থালি সামগ্রী থেকে বসতঘর, ফসলের ক্ষেতের মাচা থেকে নির্মাণ সামগ্রী, এমনকি মাছ ধরার ফাঁদ, নানান শিল্পে বাণিজ্যিকভাবে চাহিদা বেড়েছে বাঁশের। ফলে এই বাঁশ চাষে আগের তুলনায় ঝোঁক বেড়েছে চাষীদের। কুমিল্লার ময়নামতি থেকে চন্ডিমুড়া পর্যন্ত পাহাড়ের অংশে চাষ হয় নানা জাতের বাঁশ, যার ফলে জীবিকা নির্বাহ হয় পাহাড়ের দুই হাজারের বেশি পরিবারের। যাতে বছরে বাণিজ্য হয় প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার।
আধুনিকায়নের ভিড়ে বিলুপ্তির পথে কুটির-মৃৎ শিল্প
একসময় দাপিয়ে বেড়ালেও এখন বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার বাঁশ-বেত ও মৃৎ শিল্প। আর সেই জায়গা দখল করেছে প্লাস্টিক ও মেলামাইনের জিনিসপত্র। ফলে মৌলভীবাজারে অনেকে বদলে ফেলেছেন এ পেশা। আর পেটের দায়ে যারা এখনো এই পেশায় আটকে আছেন, কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
প্লাস্টিকের আধিক্যে বিলুপ্তির পথে মৃৎশিল্প
একসময় বৈশাখ উপলক্ষে কয়েক মাস আগেই ব্যস্ত হয়ে পড়তেন বাঁশ-বেত ও মৃৎ শিল্পীরা। তবে এখন সময় পাল্টেছে। প্লাস্টিকের আধিক্য, আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামীণ শিল্প বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। তাই এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ-বেত ও মৃৎ শিল্পের নানা শিল্পকর্ম। ফুরিয়ে আসছে এসব পল্লীর কর্মব্যস্ততা। বাজার সংকুচিত হয়ে পড়ায় সংসারে তৈরি হয়েছে টানাপোড়েন। তাই পেশা বদলাচ্ছেন শিল্পী-কারিগররা।