দেশের ক্রিকেট কিংবা ফুটবলের মত অতটা আলোচনায় থাকে না হ্যান্ডবল। তারপরও ঘরোয়া কিংবা স্কুল পর্যায়ে নিয়মিত টুর্নামেন্ট আয়োজন করে থাকে ফেডারেশনটি। তবে জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় ও কোচদের প্রশিক্ষণে খুব একটা ব্যয় করার নজির নেই হ্যান্ডবল ফেডারেশনের।
দেশে আন্তজার্তিক মানের কোচ আছেন হাতেগোনা কয়েকজন। সে জায়গায় নিজেদের শক্তিশালী করতে আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সহযোগিতায় এবার কোচদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে দেশের ফেডারেশনের।
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের কোচ কামরুল ইসলাম কিরন বলেন, 'এইটার মেইন অর্গানাইজার আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশন। আমরা এখানে লোকাল অর্গানাইজার। এখান থেকে যারা উত্তীর্ণ হবে তাদের সার্টিফিকেট দিবে আইএইচএফ। ৪ লাখ টাকার মতো একটা বাজেট দেওয়া হয়েছে।'
বাংলাদেশ এবং আইএইচএফের যৌথ উদ্যোগে হওয়া ডি লাইসেন্সিং কোচিং কোর্সে প্রতিবেশি দেশ ভারতের জাতীয় দলের দুই প্রশিক্ষকও লুফে নিয়েছেন এ সুযোগ।
ভারতীয় একজন কোচ বলেন, 'আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ আয়োজন করেছে। যা এই দেশের কোচদের জন্য ভালো হবে। আর আমরা যারা বাহিরে থেকে এসেছি তারাও এখান থেকে নতুন কিছু শিখে হ্যান্ডবল খেলতে প্রয়োগ করতে পারবো।'
মিশর থেকে আগত কোর্সের প্রধান প্রশিক্ষকের মতে, হ্যান্ডবলে বাংলাদেশের কোচরা পাড়ি দিতে পারেন লম্বা পথ।
মিশরের কোচ আব্দেলকাদের হাসান হাম্মোদা বলেন, 'বিশ বছর আগে বাংলাদেশে এসেছিলাম। মাঝখানে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সাহস আর মেধা দিয়ে অনেক ভালো কিছু করার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের কোচদের।'
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, 'এখান থেকে প্রশিক্ষণ শেষে তারা বিভিন্ন জেলায় যাবে এবং তরুণদের খুজে নিয়ে অর্গানাইজিং করবে ও প্রশিক্ষণ দিবে।'
দেশের হ্যান্ডবলকে আরও বেশি চাঙ্গা করতে অর্থনৈতিক বিষয়টাকে প্রাধান্যের পাশাপাশি খেলোয়াড় এবং কোচদের সঙ্গে ফেডারেশনের আগ্রহ মুখ্য। সবাই একসাথে কাজ করলে জাতীয় পর্যায়ে সাফল্যের সঙ্গে আন্তজার্তিক ধাপে মিলবে শিরোপা মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।