অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে চায় অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন

শাহনুর শাকিব

আগামী বছর দুটি আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে দেশসেরা অ্যাথলেট ইমরানুর রহমানের। নিজ জন্মভূমি ইংল্যান্ডেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ইমরান। অর্থের অভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারছে না অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।

৯ মাস আগে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ পদক জিতে চমকে দিয়েছিলেন স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান। দেশের অ্যাথলেটিক ইতিহাসে এমন সাফল্য অর্জনের পর ইমরানের দাবি ছিলো পৃষ্ঠপোষকতার।

ইমরান বর্তমানে অনুশীলন করেন ইংল্যান্ডে। সেখানেই নিজেকে গড়ে তুলছেন তিনি। কারণ দেশে নেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অনুশীলনের সুযোগ। আগামী বছরের শুরুতেই বাংলাদেশের পতাকা হাতে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে দুটি আন্তর্জাতিক আসরে।

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, 'ইমরান তার নিজস্ব কোচের অধীনে অনুশীলন করছে। ইরানে এশিয়ান ইনডোর ও গ্লাস্কোতে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস, এ দু'টো ইভেন্ট সামনে রেখে অনুশীলন করছে ইমরান।'

গত ৪ বছর যাবত সংস্কারের জন্য বন্ধ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। এই মাঠ ফুটবলের পাশাপাশি ব্যবহার করা হতো অ্যাথলেটিকসের জন্যও। তাই অনুশীলনেও হিমশিম খাচ্ছেন দেশের অ্যাথলেটরা। এছাড়া অ্যাথলেটিকসের জন্য বছরে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা দরকার হলেও ফেডারেশন সবমিলিয়ে পায় মাত্র ১ কোটি।

আব্দুর রকিব আরও বলেন, 'সরকারিভাবে ও সংস্থাদের কাছে যে পরিমাণ অর্থ আসার কথা ছিল সে পরিমাণ অর্থ আমরা পাইনি। বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের পাশে এগিয়ে এসেছে। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। ইমরানের জন্য কোন স্পন্সর এগিয়ে আসলে তার কাছ থেকে ভালো কিছু পাবে। ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা করলে আন্তর্জাতিক পদক লাভ করা যাবে।'

ইমরানুলের মতো অ্যাথলেট তৈরি করতে আন্তর্জাতিক মানের ফ্যাসিলিটি তৈরির বিকল্প নেই। আর এজন্য প্রয়োজন বিনিয়োগ। সরকার সুযোগ করে দিলে বেসরকারি খাত এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে পারে।

এসএস

আরও পড়ুন: