ক্রিকেট দুনিয়ায় ভারতের আধিপত্য নতুন কিছু না। মাঠের ক্রিকেটের বাইরেও নিজেদের প্রভাব দেখায় দেশটি। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আইসিসির সর্বোচ্চ আসনে জয় শাহ দায়িত্ব নেয়ার পর ধারণাতেই ছিল এবার নিজেদের দাপট আরো ভালোভাবেই দেখাবে ভারত।
প্রথম সিদ্ধান্তটি আসতে পারে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর নিয়ে। পাকিস্তানে এবারের ভেন্যু নির্ধারিত থাকলেও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারত সেখানে খেলতে আগ্রহী নয়। তাই আইসিসির কাছে হাইব্রিড মডেলে আয়োজনের প্রস্তাব দেয় বিসিসিআই। যেখানে ভারতের ম্যাচগুলো হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
তবে এবার আর বিষয়টি সহজভাবে নিচ্ছে না পাকিস্তান। তারাও পাল্টা জবাবে আরেকটি প্রস্তাবনা দেয় আইসিসির কাছে।
ভারত যদি পাকিস্তানে না আসে তাহলে আইসিসির নির্ধারিত ২০২৭ সাল পর্যন্ত হতে যাওয়া কোনো ইভেন্টেই ভারতে যাবে না পাকিস্তান। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সাথে শ্রীলঙ্কা যুগ্ম আয়োজক হওয়ায় সেখানেই হবে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো। তবে আগামী বছর নারী বিশ্বকাপে একক আয়োজক ভারত। সেখানে পাকিস্তান দল যাবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনো।
শুধু তাই নয় পাকিস্তানের শর্তে রয়েছে আগামী বছর এশিয়া কাপও আয়োজন করতে হবে হাইব্রিড মডেলে। যার ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে শুধুমাত্র ভারতকে। এমনকি আইসিসির ২০২৭ সালের পরের চক্রেও ভারতে গিয়ে খেলতে চায় না পাকিস্তান।
ভারত পাকিস্তানের এমন টানাপড়েনের কারণে ঝুলে আছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিসহ আইসিসির ভবিষ্যৎ আসরগুলোর ভাগ্য। যার সমাধান কি আদৌ দিতে পারবে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা? নাকি এভাবেই চলবে দুদেশের দ্বন্দ্ব।