তীব্র শীত-কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আলুর গাছ। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বগুড়ার আলুচাষিরা। কৃষকদের কেউ না জেনে আবার কেউ বিক্রেতাদের পরামর্শে প্রয়োগ করছেন কীটনাশক। কোন ওষুধই বাঁচাতে পারছে না আলুর গাছ।
পাতা কুঁকড়ে যাওয়া রোগ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেক আলুচাষি। শীত আর কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকায় আলু গাছের এই অবস্থা। এমন ধারনা থেকে কীটনাশকের দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে আলু রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করছেন কৃষকরা।
তারা বলেন, 'স্টিক আলু মারা যাওয়ার পর পাকড়ি লাগাইলাম, এটাও মারা গেল। পোকা লাইগা মরে যাচ্ছে। কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা বা সুপারভাইজারের কোন পরামর্শ আমরা পাই না।'
এমনিতেই এবার বীজ, সারসহ অধিকাংশ উপকরণের দাম বাড়ায় আলু চাষে খরচ প্রায় দ্বিগুণ। তার উপর রোগ-ব্যাধির আক্রমণ বাড়তি চাপে ফেলেছে চাষিদের। বেড়েছে সেচ-শ্রমিকের দাম, কীটনাশকের বাড়তি ব্যয়ও যোগ হয়েছে। এতো খরচের সব আলু থেকে উঠে আসবে কিনা এ নিয়েও আছে সংশয়।
আলুচাষিরা বলেন, 'সবকিছুর দাম বাড়তি। এক কেজি ওষুধের দাম ৭০০ টাকা। তরল ওষুধের দামও ৭০০ টাকা। সেচের খরচ বাড়সে, এখন আলু থাইক্কা কি দাম পাব বুঝতেসি না।'
আবহাওয়া এখন আলু আবাদের প্রতিকূলে। দেখা দিয়েছে লেট ব্লাইট রোগ। সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করলে ভয়ের কোন কারন নেই বলছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক নাজমুল হক মন্ডল।
তিনি বলেন, 'মারাত্মক অবস্থায় ককটেল আকারে মেলিডিডিউ প্লাস সি এবং সিকিউ মিক্স করে দিলে ভালো ফলন আশা করা যায়।'
বগুড়ায় এবার ৫৫ হাজার ২শ' ৬০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। যেখান থেকে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৪৭৫ টন আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।