কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

সুনামগঞ্জে ৯২০ কোটি টাকার চাল উৎপাদনের আশা

চলতি বছর সুনামগঞ্জের ১৩৭টি হাওরে ৪ লাখ কৃষক ৮৩ হাজার ৩শ' ৬৯ হেক্টর রোপা আমনের আবাদ করেছেন। যা থেকে চাল হবে ২ লাখ ১১ হাজার টন। যার বাজার মূল্য ৯২০ কোটি টাকা।

ফলন ভালো হওয়ায় সুনামগঞ্জের ফসলের মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। ধান শুকানো, মাড়াইসহ নানা কাজে ব্যস্ততা বেড়েছে।

কৃষক হাফেজ আলম বলেন, 'ফলন ভালো হওয়ায় প্রতিটা কৃষক আজ আনন্দিত। নবান্নের ধান ঘরে উঠছে তাই আমাদের আনন্দের শেষ নাই।'

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাওরে কৃষি কাজ যেমন সহজ হয়েছে, তেমনি হারভেস্টর মেশিন দিয়ে দ্রুত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। আর ভালো দাম পাওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে ধানের উৎপাদন।

হাওরের কৃষকরা জানান, 'এ বছর ধান ভালোই হয়েছে। যা পেয়েছি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। ধান সুন্দর মতো ঘরে তুলতে পেরে আমরা খুশি।'

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গেলো দুই বছরে হাওড়ে চার শতাংশ ধানের উৎপাদন বেড়েছে। ২০২১ সালে ৮১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়। যা থেকে উৎপাদন হয় ২ লাখ টন চাল। যার বাজার মূল্য ৮৭৫ কোটি টাকা। একই ভাবে ২০২২ সালে ৮২ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়। সেখান থেকে উৎপাদন হওয়ায় ৩ লাখ ৮ হাজার টন চালের দাম প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।

উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, 'লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আমরা অধিক ফলন পেয়েছি। প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল বেশি উৎপাদন হবে।'

গেলো ২৫ নভেম্বর সুনামগঞ্জের হাওরের আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়।