কুষ্টিয়ায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে তরমুজ চাষে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন।
কুষ্টিয়ার মাঠজুড়ে নানা রঙের তরমুজের চাষ চলছে। চলতি মৌসুমে জেলার ৪ হেক্টর জমিতে রঙিন এই তরমুজ চাষ হয়েছে। গোল্ডেন ক্লাউন ও ব্লাকবেরি জাতের তরমুজ বেশি চাষ হচ্ছে। দুই মাস সময়কালীন এই ফল চাষে বিঘাপ্রতি জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘায় চাষিরা ৭০-৮০ হাজার টাকা মুনাফা করছেন।
এসব তরমুজের ওজন প্রায় ৪ কেজি। সুস্বাদু ও রসালো ফল কিনতে অনেকেই মাঠে ছুটে আসছেন। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।
চাষিরা বলছেন, কম সময়ে এই তরমুজ চাষ করতে পারছি। ভালো দামও পাচ্ছি আমরা।
ক্রেতারা বলছেন, রঙিন তরমুজগুলো দেখতে সুন্দর। খেতেও সুস্বাদু। মাঠজুড়ে এসব তরমুজের আবাদই বেশি দেখছি।
কৃষি বিভাগ বলছে, প্রতি হেক্টর জমিতে ৩৫ টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এই চাষে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এসব তরমুজে সঠিকভাবে বালাইনাশক ব্যবহারেও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে কৃষকদের বিরত রাখতে প্রথমবার রঙিন এই তরমুজ চাষ হয়েছে।
প্রতিবেদক: সোহেল পারভেজ