ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে বুক পেতে দেওয়া হাজারো মানুষের একজন আশরাফুল হোসেন। ঘাতকের বুলেটে ডান চোখ হারিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে থেকেই বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চলছে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছবি ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করার কাজ। এক টেবিলে পাওয়া যাচ্ছে সকল সেবা। নির্বাচন কমিশনের একটি বিশেষ দল এ কাজে সহযোগিতা করে।
২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হয়েছে। তবে, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা যাতে এ তালিকা থেকে বাদ না পড়েন, সে জন্য নির্বাচন কমিশন বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
তথ্য গ্রহণকারীরা জানান, যারা নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন, যাদের স্মার্ট কার্ড নেই, হারিয়ে গেছে, কিংবা যাদের পরিচয়পত্র সংশোধনের প্রয়োজন তাদের জন্য এ সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের এ উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আহতরা। তারা জানান, জুলাই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের তথ্য সংগ্রহে সংশ্লিষ্টদের হাসপাতালে এসে তথ্য নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংশ্লিষ্টরা জানান, আহতদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়া গেলে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নেওয়া হবে।
বুধবার একই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অন্য যেকোনো হাসপাতালে থাকা আহত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে জানানো হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।