কাকডাকা ভোর, নানা রঙের ফুলে ভরে উঠেছে গদখালীর ফুলের বাজার। যেখানে শোভা পাচ্ছে গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ফুল। এসব ফুল সৌন্দর্যের সাথে কৃষকের জীবনে এনেছে সমৃদ্ধি।
১৬ ডিসেম্বরের আগের দিনের হাটে প্রতিপিস গোলাপ বিক্রি হয় ১০ টাকায়। জারবেরা ১৫ টাকা, গ্লাডিওলাস ২০ টাকা, রজনীগন্ধা ১১ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ৪ টাকা। যা পাইকারদের হাত ধরে পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। গেল কয়েকবছরের তুলনায় দাম ভালো পাওয়ায় খুশি ফুল চাষিরা।।
চলতি পথে গদখালীর বাজার থেকে ফুল কিনে অভিভূত বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও যশোরের মেয়ে সানজিদা আক্তার মেঘলা।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘ আমাদের আসলে বাগানে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু যাওয়া হয়নি। এখান থেকে তাজা ফুল কিনে খুব ভালো লাগছে।’
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় সানজিদা আক্তার মেঘলা বলেন, ‘আমি যেহেতু স্থানীয় তাই আমার কাছে এখানকার ফুল সবসময় ভালো লাগে। আমি বাড়ি এলে এখানে ঘুরতে আসি।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেল ৩ দিনে গদখালীর বাজারে অন্তত তিন কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছেন চাষিরা।
যশোরের গদখালীর ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ‘গত তিন চার দিনে এখান থেকে সারা বাংলাদেশে সব জেলায় প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে। দুই থেকে আড়াইশ ফুল চাষি আছে যারা এখানে ফুল নিয়ে আসে। এছাড়া এখানকার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সারা দেশে ফুল ছড়িয়ে যায়।’
সারাদেশের ফুলের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশই পূরণ করে গদখালীর বাজার। আর কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১১ ধরনের ফুলের চাষ হয়।