দেশে এখন
0

ফেনীর বন্যার ভয়াবহতা রাজনৈতিক দুর্যোগ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বমঞ্চে

আজারবাইজানের বাকুতে চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে উঠে এসেছে বাংলাদেশের ফেনী জেলার সাম্প্রতিক বন্যার ভয়াবহতা। ভারতের উজানের ঢলে ভেসে যায় ফেনী ও এর আশপাশের এলাকা। এতে দুর্যোগের মুখে পড়ে প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষ আর আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ভয়াবহতাকে রাজনৈতিক দুর্যোগ হিসেবে তুলে ধরা হয় বিশ্বমঞ্চে। জলবায়ু বিজ্ঞানীদের মতে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি উন্নত দেশগুলো রাজনৈতিকভাবে দুর্বল দেশের পরিবেশ ধ্বংস করছে।

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ডুবে যায় ফেনী ও এর আশপাশের এলাকা। অভিযোগ আছে, পাশের দেশ ভারত কোন ধরনের পূর্বাভাস ছাড়াই পানি ছেড়ে দেয়ায় ভেসে গিয়েছিলো ফেনী, শেরপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকা। যা ছিল অনেকটাই রাজনৈতিক। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষ আর আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে বন‍্যা হয়েছে ৬ টি আর ঘূর্ণিঝড় ৩টি। এতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোনোভাবেই স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এমন বাস্তবতায় আজারবাইজানের বাকুতে চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে কয়েকটি পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন। যেখানে ফেনীর সাম্প্রতিক বন্যাকে রাজনৈতিক দুর্যোগ হিসেবে তুলে ধরা হয় বিশ্বমঞ্চে।

ইয়ুথ প্লাটফর্ম ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের প্রধান সমন্বয়ক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ফেনীর সাম্প্রতিক বন‍্যাকে রাজনৈতিক দুর্যোগ হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছি। আমাদের ২৪ সালের ফেনীর বন্যার জন্য অনেকাংশ দায়ী ভারত।

ইভেন্টটিতে অংশ নিয়ে জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাকৃতিকভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে দুর্বল প্রতিবেশী দেশের পরিবেশ ধ্বংস করছে উন্নত দেশ । দক্ষিণ এশিয়ায় এক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশগুলোর ন্যায্য পানি থেকে বঞ্চিত করছে ভারত ও চীন।

জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. মঞ্জুরুল হান্নান খান বলেন, ‘ভারত যখন না বলে বাঁধ খুলে দিয়েছে যার ফলে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

জলবায়ু বিজ্ঞানী এম জাকির হোসেন খান বলেন, ‘পদ্মা, যমুনা, মেঘনা নিয়ে আমাদের একটা ম্যানেজমেন্টে যেতে হবে।’

পরিবেশবিদরা বলছেন, উন্নত দেশ তাদের আচরণে পরিবর্তন না করলে সম্মেলনের সুফল পাবে না বিশ্ব।

পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘কার্বন নি:সরণ কমানো ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশকে ক্ষতিপূরণ দেয়া এই দুটার কোনটিই ঠিক মতো অগ্রসর হয়নি। সেই হিসেবে বলা যায় দায়ী রাষ্ট্রগুলো আলোচনার নামে সময় নষ্ট করছে।’

ইএ