হঠাৎ করেই হারিয়ে গেছেন প্রিয়জন। যার অপেক্ষায় কাটছে বছরের পর পর। কখনো কী দেখা মিলবে সেই নিখোঁজ স্বজনের? আর কী মুখোমুখি হবে সেই প্রিয়মুখ। এমন অনিশ্চয়তা যেন অন্তহীন। এমন পরিস্থিতি গেল ১৫ বছরে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা অধিকারের আয়োজনে এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলন্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সে দুই দিনব্যাপী অষ্টম কংগ্রেসে উঠে আসে স্বজনদের বেদনার্ত দিনযাপনের কথামালা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সরকারের উপদেষ্টারা বলছেন, খুনের চেয়ে ভয়াবহ গুম। যারা গুমের শিকার হয়েছেন তাদের সম্পত্তি বণ্টনে উত্তরাধিকার বিষয়ে আইন হবে। অনুষ্ঠানে গুম প্রতিরোধে সর্বোচ্চ আইন করার আহ্বান জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, 'এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এর জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইন করা হবে যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।'
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, শুধু গুম-খুন নয়; গেল ১৫ বছরে যারাই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন-তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারে থাকবে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার ।
আদিলুর রহমান খান বলেন, 'ন্যায় বিচার শুধু যারা গুম হয়েছে তাদের অধিকার না। ন্যায় বিচার সবার অধিকার এই দেশের যারা এই ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট শাসকের ক্রোধের শিকার হয়েছে।'
বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, গুম হওয়া ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের বিষয়ে সরকারের অবস্থান নিয়ে কথা বলেন। বলেন, সরকারের সক্ষমতার ঘাটতি থাকলেও আন্তরিকতার কমতি নেই। দেরিতে হলেও, যারা গুমের সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আইন উপদেষ্টা।
আসিফ নজরুল বলেন, 'কোনোভাবেই আগের সরকারের স্টেপসের পুনরাবৃত্তির প্রশ্নই আসে না। এবং আমাদের কমিটমেন্ট অবশ্যই আগের চেয়ে বেশি।'
গুমের সঙ্গে জড়িত এবং নির্দেশদাতাদের বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে গুমের শিকার ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।