গেলো ১৮ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপ করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের জন্য রুল দেন হাইকোর্ট। এই রুলের শুনানিতে পক্ষভুক্ত হয় বিএনপি, জামায়াত ও গণফোরাম। ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এই সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানকে দেয়া হয় জাতির জনকের স্বীকৃতি।
রুলের শুনানিতে অংশ নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এবং বিএনপি জামায়াতের আইনজীবীরা পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করার পক্ষে জোড়ালো আইনি যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। গণতন্ত্র এবং ভোটের অধিকার রক্ষায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণসহ উপস্থাপন করা হয়।
বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রুলের ওপর পঞ্চম দিনের শুনানি শুরু করেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের অবদান থাকলেও তাকে জাতির জনক স্বীকৃতি দেয়া অসাংবিধানিক। ৭ই মার্চের ভাষণ, মুজিব নগর সরকার সংবিধানের অংশ হওয়ার যোগ্য নয়।’
অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে মানুষ গুম করা বা হত্যা করা নয়। ক্ষমতা নিরঙ্কুশ ও কুক্ষিগত করতেই পঞ্চদশ সংশোধনী এনেছিলো আওয়ামী লীগ সরকার।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিগত শেখ হাসিনা সরকার দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত করেছে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। তবে রাষ্ট্রপক্ষ পুরো সংশোধনী বাতিল চায় না। এছাড়া গণভোট বাতিলের বিরোধিতাও করেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা।