দেশে এখন
0

প্লাস্টিক বর্জ্যের বিনিময়ে মিলছে নিত্যপণ্য

কক্সবাজার সৈকতে শুরু হয়েছে ‘সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ কর্মসূচি’। কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্থানীয়দের জন্য বসানো হয়েছে ‘প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার’। যেখান থেকে প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার করেছে প্রায় ৫শ পরিবার। এর প্রথমদিনেই সংগ্রহ করা হয়েছে প্রায় ৪ টনের বেশি প্লাস্টিক। সমুদ্রকে দূষণমুক্ত রাখতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

প্লাস্টিক দিলেই মিলবে নিত্যপণ্য। এমনই একটি সুপারশপ বসানো হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে। ক্রেতা প্লাস্টিকের বিনিময়ে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য নিতে পারছেন এখান থেকে। যেখানে প্লাস্টিকের বাজারদর কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা, সেখানে এই সুপারশপ ক্রেতাদের দিচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা দর। প্রায় ১৯টি পণ্য থেকে পছন্দমতো পণ্য কেনার সুযোগ থাকছে।

সকাল থেকেই বস্তাভর্তি প্লাস্টিক নিয়ে এই সুপারশপে হাজির হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। যাদের কেউ সৈকত থেকে প্লাস্টিক কুড়িয়ে, কেউ ঘরে জমানো প্লাস্টিক নিয়ে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করতেন ভাঙারি ব্যবসায়ীদের কাছে। প্লাস্টিকের বিনিময়ে পণ্য কিনতে পেরে খুশি তারা। ৪ মাসের এই কর্মসূচি উদ্বোধনের প্রথমদিনেই প্রায় ৪ মেট্রিক টনের বেশি প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মূলত স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য বসানো হয়েছে এই ‘প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার’। যেখান থেকে এরই মধ্যে প্রায় ৫০০ স্থানীয় দুস্থ পরিবার প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার করতে পেরেছেন। এছাড়াও সুগন্ধা পয়েন্ট ও সি-গাল পয়েন্টে দুটি ‘প্লাস্টিক বিনিময় স্টোর’ স্থাপন করা হয়েছে।

বিদ্যানন্দের বোর্ড মেম্বার মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘একজন নির্ধারিত পরিমাণ প্লাস্টিক জমা দিলে একটি টোকেন পাবেন এবং সেই টোকেনের ভিত্তিতে তিনি ডিম,চাল,আটা,তেল,লবণ ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এখান থেকে এর বিনিময়ে নিতে পারবেন।’

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘চলতি বছরেও আমরা তিনটি প্লাস্টিক বিনিময় স্টোর চালু করেছি, যেখানে আগামী চার মাসব্যাপী পর্যটকরা তাদের একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বিনিময়ে নিশ্চিত উপহার পাবেন।’

সংগৃহীত প্লাস্টিকের একটি অংশ দিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে নির্মাণ করা হবে ‘প্লাস্টিকের ভাস্কর্য’।

এএম