দেশে এখন
0

আজ থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ

নিষিদ্ধের পরও দেদারসে পলিথিনের মাধ্যমে বেচাকেনা চলছে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। যদিও ক্রেতা ও বিক্রেতা অনেকেই পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে পহেলা নভেম্বর পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও ৩ নভেম্বর থেকে কঠোর হবে কর্তৃপক্ষ। একইসাথে ওইদিন থেকে দেশব্যাপী শুরু হবে সরকারের অভিযান।

গেলো ১ অক্টোবর থেকে দেশের সুপারশপে পরীক্ষামূলকভাবে পলিথিনের মাধ্যমে বেচা-বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে সুপারশপে দেখা যায় পাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাপড় ও কাগজের ব্যাগের ব্যবহার।

সেই ধারাবাহিকতায় পহেলা নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারেও পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়। তবে নিষিদ্ধ হলেও এদিন কাঁচাবাজারে দেদারসে পলিথিনের মাধ্যমে বেচাবিক্রি করতে দেখা যায় দোকানিদের। এরমধ্যে অনেকেই আবার জানেন না পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়। আবার কেউ জানলেও বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই ব্যবহার করছে পলিথিন।

একজন বিক্রেতা বলেন, 'কাস্টমার ব্যাগ নিয়ে আসবে, সেই ঠোঙ্গায় ভরে বাজার দেবো আমরা। আর তা না হলে নেটে করে দিতে হবে।'

একজন ক্রেতা বলেন, 'বাজারে তো প্রচুর পরিমাণে পলিথিন। বাজারে ছয়লাভ। আবার কিছু কিছু দোকানদার দেখছি পাটের ব্যাগ বা চটের ব্যাগ ব্যবহার করছে। হয়তাে বেশি সচেতন।'

বিক্রেতাদের মতো অনেক ক্রেতার জানা নেই সরকারের এই আদেশের বিষয়। তবে পলিথিন নিষিদ্ধে সরকারের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানান অনেক ক্রেতা। পাশাপাশি দ্রুতই পলিথিনের পর্যাপ্ত বিকল্প আনার দাবি তাদের।

অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার প্রথমদিন থেকে বাজার তদারকিতে নেমেছে মোবাইল কোর্ট। আপাতত আজ (শুক্রবার, ১ নভেম্বর) ও আগামীকাল (শনিবার, ২ নভেম্বর) এই দুই দিন সবাইকে সতর্ক করা হবে। তবে ৩ নভেম্বর থেকে সারাদেশে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, 'জনগণ তাদের সচেতনতার ভিত্তিতে ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার থেকে দূরে সরে আসুক। যদি মোবাইল কোর্ট ব্যবহার না করতে হয় তাহলে সেটা আমাদের সৌভাগ্যের বিষয় হবে। কিন্তু আমরা যখন পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাবো না, তখন স্বাভাবিকভাবেই আমরা কঠোর হবো।'

এর আগে কয়েকবার পলিথিন বন্ধের আইন করলেও ব্যবহার কমাতে পারেনি সরকার। এবার কতটুকু পলিথিন নির্মূল করতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এসএস