প্রায় ৯ বছর আগে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপ নেয় জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর এলসি স্টেশন। শুরু থেকে ৩৪টি পণ্য আমদানির অনুমতি থাকলেও ভারত থেকে পাথর আমদানি হতো বেশি। তবে নানা জটিলতায় গেল ৪ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বন্দরের কার্যক্রম। বেকার হয়ে পড়েছেন হাজারো শ্রমিক।
শ্রমিকরা জানান, এই বন্দরে কাজ করে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক। তবে গেল জুন মাস থেকে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় বন্দরে বসে অলস সময় কাটছে তাদের। এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই স্থলবন্দরে অতিরিক্ত শুল্ক আদায়ের কারণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। এছাড়া সুবিধামতো পাথর আমদানির সুযোগ না দেওয়াসহ নানা কারণে আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় শিগগিরই ব্যবসার পরিবেশ তৈরির দাবি আমদানি-রপ্তানিকারকদের।
ধানুয়া কামালপুর বকশীগঞ্জ জামালপুরের আমাদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি গোলাম রসুল সেতু বলেন, ‘ভারত থেকে ১২ টনের কোনো পণ্যের অ্যাকসেস পাওয়া যাচ্ছে না। আর আমাদের এখানে বন্দরে ২৫ টনের নীচে এন্ট্রি নিচ্ছে না। যে কারণে আমাদের পণ্যের কস্টি বা খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আমদানি ও রপ্তানিকারকদের সহায়তার আশ্বাস বন্দর কর্তৃপক্ষের। আর সমস্যা সমাধানে আমদানিকারকদের সাথে আলোচনার কথা জানায় শুল্ক বিভাগ।
ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দর বকশীগঞ্জ জামালপুর শুল্ক বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ইমপোর্টার বা বিভিন্ন স্টক হোল্ডার ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এদের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে বন্দরটিকে সচল করা যায় সে বিষয়ে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো।’
সব সমস্যা সমাধান করে দ্রুত পাথর আমদানির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এমনটাই প্রত্যাশা শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও সচেতন মহলের।