হারানো সন্তানের ব্যথার পাহাড় ক্ষণে ক্ষণে কান্নার ঝর্ণা হয়ে ঝড়ে। যদি মিছিলে-মিটিং এ, কিংবা সভা-সমাবেশের অপরাধে প্রাণ যায়, সে স্বজন হারানোর আর্তনাদ আরো করুণ হয়ে ফিরে আসে।
কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে ভিন্নমত পোষণের কারণে গত ১৭ বছরে পুলিশের গুলিতে কিংবা দলীয় পেটোয়া বাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতনে নিহত হন কয়েক হাজার মানুষ। এসব শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি, ঢাকা মহানগর উত্তর।
আজ (রোববার, ২৭ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেন, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ আমলে প্রতিটি অপরাধের বিচারের দাবি জানান বক্তারা।
রাজনৈতিক দলকেই গণহত্যার দায় নিতে হবে জানিয়ে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রীয় সংকটের কারণে যেন পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা সুযোগ না নিতে পারে, সেজন্য সজাগ থাকতে হবে।
২০০৬ এর ২৮ অক্টোবর থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত সকল শহীদের ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্তে আহ্বান জানিয়ে জামায়েতের আমির বলেন, অতীতের ফ্যাসিবাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে শিক্ষা নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্থলে চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী। যেখানে ২০০৬ এর ২৮ অক্টোবর থেকে ২৪'র জুলাই গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের নানা নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়।