দেশে এখন
0

পুরো দেশের সরকার না হলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ব্যর্থ হবে

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের সংলাপে বক্তারা

মানবাধিকার রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারকে জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠন। পাশাপাশি গুম-খুনসহ মানবাধিকার রক্ষায় তেমন ভূমিকা রাখতে না পারায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সংস্কারের দাবিও তুলেছেন তারা। রাজধানীতে সিজিএসের সংলাপে উঠে আসে এমন মতামত।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের পথ তৈরি হয়েছে সেখানে অন্য অনেক কিছুর মত জোর দাবি উঠেছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অপহরণ কিংবা আয়নাঘরে নির্যাতনের মত অপরাধের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার। এ বিষয়ে আশ্বাসও দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গঠিত হয়েছে ৬টি সংস্কার কমিশন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক ধারাবাহিক সংলাপের আয়োজন করে। সংলাপের দ্বিতীয় দিনে মানবাধিকার বিষয় নিয়ে আলোচনায় বক্তারা বলেন, কেবল সমন্বয়কদের না হয়ে পুরো দেশের সরকার হিসেবে শক্তিশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ না হলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হবে সরকার।

গণঅধিকার পরিষদের সধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে এ সরকার আসলে কার সরকার? রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার নাকি ছাত্রদের সরকার, নাকি জনতার সরকার, নাকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকার। আমরা আসলে এ বিষয়ে ক্লিয়ার না। তাই সরকারের উচিত দলগুলোর সহযোগিতা নেয়া। সেই সঙ্গে সিজিএসসহ যেসব সংগঠন রয়েছে যারা রাজনীতি-দেশ নিয়ে ভাবে তাদের সহযোগিতা নেয়া।’

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান বলেন, ‘গঠন প্রক্রিয়া, নিয়োগ প্রক্রিয় যেটাই বলি স্বচ্ছতার বা জবাবদিহিতার জায়গা এখানে নেই। আর নেই বলেই যেটা দেখলাম যে ওই সরকার পরিবর্তন হয়ে যখন রাজনৈতিক সরকার এলো তখন অনেককে বাদ যেতে হয়েছে, অনেককে বাদ দিতে হয়েছে।’

গত ১৬ বছরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গুম খুন হত্যা নিয়ে কোন পদক্ষেপ না থাকায় অনতিবিলম্ব এই সংগঠন বাতিলের দাবিও জানায় বক্তারা।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত একটা হিউম্যান রাইটস কমিশন সরকারের পুরোপুরি অংশ থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সরকারের অংশ হয়ে তারা সরকারের নিন্দা করতে পারবে না, কার্যকরি হবে না।’

হাসিনা সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, এইভাবে সন্তানদের হত্যা করা কোন বাঙালি পুলিশ করে? আমি বারবার বলেছি এরা আমাদের দেশের পুলিশ নয়। ফরচুনেটলি বা আনফরচুনেটলি অনেক লোক তো ধরা পড়ে। আমরা একটা পলিটিক্যাল পার্টির ইনসাইড দেখলাম। আমিতো বলি এই পলিটিক্যাল পার্টি যা করেছে তা জঘন্যতম অপরাধ। এমনকি নাৎসিদের সঙ্গে তুলনা করলেও আপনি হয়রান হয়ে যাবেন।’

রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে সময়ের প্রয়োজন বলে জানান সরকারের এ উপদেষ্টা।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর